রহিদুল ইসলাম, রাজশাহীঃ
বাস শ্রমিকদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনার পরে রাজশাহীর পবা উপজেলার নওহাটা রাস্তা অবরোধ করে মানববন্ধন করেছেন সিএনজি চালকরা। এসময় রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আজ বুধবার দুপুর ১টার দিকে তারা সেখানে জড়ো হয়ে সড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন।
এর আগে গত সোমবার সিএনজি অটোরিকশার চালকেরা তানোর উপজেলা সদরে বাসের ছয়জন চালক, হেলপার ও কন্ডাক্টরকে মারধর করেন। এর জের ধরে দুপুর থেকে রাজশাহী থেকে সব রুটের বাস বন্ধ রাখা হয়। রাতে বাস চলাচল শুরু হলেও মঙ্গলবার সকালে আবার বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এরপর বাস শ্রমিকেরা রাজশাহী মহানগরীর শিরোইল বাস টার্মিনাল থেকে লাঠিশোঁটা ও হাতুড়ি নিয়ে এসে রেলগেট সিএনজি স্ট্যান্ডে হামলা করেন। তারা ৭০ থেকে ৮০টি সিএনজি অটোরিকশার কাঁচ ভাঙচুর করে চলে যান। পরে দুপুর থেকে আবার বাস চলাচল শুরু হয়। তবে বুধবার সকাল থেকে আবার রাজশাহী-নওগাঁ রুটে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
পবার নওগাটায় মানববন্ধনে সিএনজি চালকেরা বলেন, সিএনজি স্ট্যান্ডে এসে বাস শ্রমিকেরা তাদের ওপর আক্রমণ করে। তারা প্রায় ৯০টি সিএনজি অটোরিকশা ভাঙচুর করেছে। যাত্রী-চালকসহ অন্তত ৪০ জনকে মারধর করা হয়েছে। তারা এই ঘটনার বিচার চান। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রশাসন এর বিচার করতে না পারলে লাগাতার আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তারা।
তবে জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রফিক আলী পাখি সিএনজি স্ট্যান্ডে হামলার দায় স্বীকার করেননি। তিনি উত্তরভূমিকে বলেন, ‘ওরা নিজেরা নিজেরা ক্যাচাল করে নিজেরাই গাড়ি ভেঙেছে।’
রাজশাহীর পবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘সিএনজি চালকেরা বাস ভাঙচুর করতে পারেন এই আশঙ্কায় বাস চলছে না। আবার সিএনজি চালকেরাও তাদের সিএনজিও চলতে দিচ্ছেন না। তারা বলছেন, বিষয়টির সমাধান না হওয়া পর্যন্ত সড়কে বাস যেমন বন্ধ থাকবে তেমনি সিএনজি অটোরিকশাও বন্ধ রাখতে হবে।’
এদিকে, তানোরে বাস শ্রমিকদের ওপর হামলার ঘটনায় থানায় ১৮ সিএনজি অটোরিকশা চালকের নামে মামলা হয়েছে। এদের মধ্যে দুজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। সিএনজি স্ট্যান্ডে হামলার ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন চালকেরা। এ অবস্থায় বুধবার বেলা ৩টায় রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের উপকমিশনার নূর আলম সিদ্দিকী উভয়পক্ষকে নিয়ে বসেছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) সাবিনা ইয়াসমিন উত্তরভূমিকে বলেন, ‘বিষয়টির সমাধান হওয়া উচিত। এ জন্য ট্রাফিক বিভাগ উভয়পক্ষকে নিয়ে বসেছে।’
‘আমরা আশা করছি আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টির সমাধান হবে।’