শফিকুল ইসলাম, রায়পুরা প্রতিনিধি:
নরসিংদী জেলার ঐতিহ্যবাহী বৃহত্তর রায়পুরা উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে পবিত্র ঈদ-উল আযহা উপলক্ষে সর্বস্তরের জনগণকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও শিক্ষানুরাগী লায়লা কানিজ লাকি। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, শান্তিপূর্ণ মানবাধিকার সমুন্নত রাখার মাধ্যমে প্রীতিময় সমাজ গঠন সম্ভব। কারণ ঈদ-উল আযহা হলো ধৈর্য, সহনশীলতা, সহমর্মিতা এবং অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ ও ভালোবাসার শিক্ষা দেয়। আমরা যেন প্রতিটি পশু কোরবানির সঙ্গে অন্তরের পশুত্বকেও কোরবানি দিতে পারি।ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ জীবনে অমাদের আত্মশুদ্ধি, সংযম, সৌহার্দ্য ও সম্প্রতির মেলবন্ধন তৈরি করুক। ঈদের দিন সবাই হাসি-খুশি থাকবেন, আনন্দে আমাদের জীবন পূর্ণতায় ভরে উঠুক। ঈদ-উল আযহা ত্যাগের মহিমা, খুশি ও আনন্দ ধারা বয়ে আনুক শান্তি।পবিত্র ঈদ সমাজের সব ভেদাভেদ ও সীমানা মুছে দিয়ে মানুষে মানুষে মহামিলন ঘটায়। দেশের অসহায়, গরীব, দুঃস্থ, দরিদ্র মানুষের প্রতি ভ্রাতৃত্ববোধ ও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে সমাজের বিত্তবান শ্রেণীর জনগণ ঈদের এই আনন্দকে সকলের মাঝে ছড়িয়ে দেবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
তাছাড়া রায়পুরা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও শিক্ষানুরাগী লায়লা কানিজ লাকি আরো বলেন, পবিত্র ঈদ-উল আযহা সঞ্চারিত করে আত্মদান ও আত্মত্যাগের মানসিকতা। এই মর্ম অনুধাবন করে সমাজে শান্তি ও কল্যাণের পথ রচনা করতে আমাদের সংযম ও ত্যাগের মানসিকতায় উজ্জীবিত হতে হবে। এই দিনে মানুষে মানুষে প্রীতি ও বন্ধনের যোগসূত্র আরও সুদৃঢ় হোক। আসুন আমরা সবাই মিলেমিশে পরিচ্ছন্ন পরিবেশ নিশ্চিত করে সুস্থ ও সুন্দর জীবন গড়ি, সবাইকে আবারও রায়পুরা উপজেলা পরিষদ পক্ষ থেকে পবিত্র ঈদ- উল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
তাছাড়া তিনি আরো বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ও স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে এবং তাহার সুযোগ্য মানস মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশ রত্ন শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আমরা সবাই বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর ও নরসিংদী-৫(রায়পুরা) আসনের সপ্তমবারের সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা রাজি উদ্দিন আহমেদ রাজু নেতৃত্বে উপজেলাকে স্মার্ট উপজেলা রুপান্তরিত করতে একযুগে কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, বছর ঘুরে মুসলিম উম্মাহর আনন্দময় দিন ঈদ-উল আযহা আমাদের মাঝে সমাগত। পবিত্র ঈদ-উল আযহা উপলক্ষে রায়পুরা উপজেলাবাসী সহ বিশ্বের সকল মুসলিম ভাইবোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ,ঈদ মোবারক। মহান আল্লাহর প্রতি গভীর আনুগত্য ও সর্বোচ্চ ত্যাগের মহিমায় পবিত্র ঈদ-উল আযহা। মহান আল্লাহর নির্দেশে স্বীয় পুত্র হযরত ইসমাইল (আঃ) কে কোরবানি করতে উদ্যত হয়ে হযরত ইব্রাহিম (আঃ) আল্লাহর প্রতি অবিচল আনুগত্য, অকুণ্ঠ আত্মত্যাগ ও অগাধ ভালোবাসার যে সুমহান দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, তা চিরকাল অনুকরণীয় ও অনুসরণীয়। তাঁরই নিদর্শন স্বরুপ আমরা প্রতি বছর আল্লাহ তা’আলার সন্তুুষ্টির উদ্দেশ্যে পশু কোরবানি করি। এই উৎসবের মধ্য দিয়ে সামর্থ্যবান মুসলমানগণ কুরবানিকৃত পশুর মাংস আত্মীয় ও প্রতিবেশীদের মধ্যে বিলিয়ে দেন এবং সমাজে সাম্যের বাণী প্রতিষ্ঠিত করেন। পবিত্র ঈদ-উল আযহার প্রকৃত শিক্ষা ও ত্যাগের আদর্শ ব্যক্তি ও সমাজ জীবনে প্রতিফলিত হোক এই কামনা করছি।