1. admin@dakbela.com : admin :
কুষ্টিয়ার বাজারে সবজির দামে স্বস্তি তেল-চালে ম্লান। - ডাক বেলা
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৬ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
পবিত্র কাবাঘরে ‌জয় বাংলা স্লোগান দেওয়া যুবক পদুয়ার হারুন কসবায় চিলড্রেন ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের মেধাবৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত নবীনগরে মোবাইল চুরির অপবাদ সহ্য করতে না পেরে যুবকের আত্মহত্যা শ্রীপুরে বোতাম তৈরি  কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড! আগুন নিয়ন্ত্রণে ৭টি ইউনিট  রাজশাহীতে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল স্বামী-স্ত্রী ও শ্যালিকার আরএমপি’র রাজপাড়া থানার নতুন ভবনের উদ্বোধন মিঠাপুকুরে ওয়াল্ডভিষণ CVA কর্ম-পরিকল্পনা সভা অনুষ্ঠিত। কালিয়াকৈর মডেল প্রেস ক্লাবের বাৎসরিক শিক্ষা সফর কক্সবাজার গোপালপুর দ্বী-মূখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ কসবায় বৃহত্তর কুমিল্লা জেলা কিন্ডারগাটের্ন এসোঃ বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

কুষ্টিয়ার বাজারে সবজির দামে স্বস্তি তেল-চালে ম্লান।

ডাক বেলা ডেস্ক :
  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ১২ বার পঠিত

মোঃ আশরাফ ইকবাল পিকলু মাজমাদার
কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি।

শীতের শুরুতে সরবরাহ বাড়ায় কুষ্টিয়ার বাজারে কমতে শুরু করেছে শাক-সবজির দাম। এতে স্বস্তি ফিরছে ভোক্তাদের মাঝে। তবে চাল-তেলের বাজারের অস্থিরতায় সেই স্বস্তি যেন অনেকটাই ফিকে হয়ে আসছে। পাশাপাশি বাজারে চড়া মাছের দামও।শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) কুষ্টিয়ার মিউনিসিপাল বাজার সহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।কুষ্টিয়াসহ সারাদেশেই জেকে বসতে শুরু করেছে শীত। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাজারগুলোতে বাড়ছে শীতকালীন শাক-সবজির সরবরাহ। দোকানিরাও সাজিয়ে বসছেন সবজির পসরা। এতে কমতে শুরু করেছে দাম। ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারে শীতকালীন শাক-সবজির সরবরাহ অনেক বেড়েছে। যার প্রভাবে দাম কমছে। কুষ্টিয়ার মিউনিসিপাল বাজারের সবজি বিক্রেতা উজ্জল বলেন,সরবরাহ বাড়ায় সপ্তাহ ব্যবধানে কেজিতে ৫-১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে শাক সবজির দাম। সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলে দাম আরও কমে আসবে।বাজারে মানভেদে প্রতি কেজি বেগুন ৪০-৫০ টাকা, করলা ৫০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৪০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, মুলা ২০-২৫ টাকা, লতি ৬০ টাকা, ধুন্দুল ৪০ টাকা ও পটোল ৩০-৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি কেজি পেঁপে ২৫-৩০ টাকা, গাজর ৫০-৬০ টাকা, ক্ষিরাই ৫০ টাকা, টমেটো ৯০-১০০ টাকা, শিম ৩০-৪০ টাকা, শালগম ৩০ টাকা ও শসা বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকায়।

এছাড়া, প্রতি কেজি ধনেপাতা ৩০-৪০ টাকা, পেঁয়াজের কালি ৩০-৪০ টাকা, নতুন আলু ৫০-৬০ টাকা ও পুরাতন আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকায়। আর মানভেদে প্রতি পিস ফুলকপি ২০-৩০ টাকা, বাঁধাকপি ৩০ টাকা এবং লাউয়ের জন্য গুনতে হচ্ছে ৩০-৫০ টাকা। দাম কমেছে কাঁচা মরিচেরও। খুচরা পর্যায়ে এটি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫০-৭০ টাকায়, আর পাইকারিতে ৪৫-৫০ টাকায়। এছাড়া, বাজারে লালশাকের আঁটি ১০ টাকা, সবুজশাক ১০-১৫ টাকা, পুঁইশাক ২০ টাকা, লাউশাক ৩০ টাকা, মুলাশাক ১০ টাকা, ডাঁটাশাক ১০-১৫ টাকা, কলমিশাক ১০ টাকা ও পালংশাক বিক্রি হচ্ছে ১৫-২০ টাকায়। সবজির দাম কমতে শুরু করায় কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে ভোক্তাদের মধ্যে। তারা জানান, শাক-সবজির দাম কমতে শুরু করেছে। তবে শীতকাল অনুযায়ী এখনও দাম অনেক বেশি। হাসান নামে এক জন ক্রেতা জানান, বাজার শীতকালীন সবজিতে ভরপুর। এতে দাম কমছে, তবে আরও কমা উচিত, না হলে বাজারে পুরোপুরি স্বস্তি আসবে না। এদিকে, শাক-সবজির দাম কমলেও চড়া চাল ও তেলের বাজার। বাজারে প্রতিকেজি ৩ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে চালের দাম। বাজারে মিনিকেট চাল কেজিতে ২-৩ টাকা বেড়েছে। বিক্রি হচ্ছে ৭২-৭৫ টাকায়। আর নতুন আটাইশ ৫৫-৫৭ টাকা, পুরাতন আটাইশ ৬০-৬২ টাকা ও নাজিরশাইল ৭৬-৮২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর দাম বাড়ানোর পরও কমেনি তেলের বাজারের অস্থিরতা। সরকার প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন ও পাম তেলের দাম ১৫৭ নির্ধারণ করে দিলেও বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকার ওপরে। বিক্রেতারা বলছেন, দাম নির্ধারণের পর বোতলজাত সয়াবিনের সরবরাহ বাড়তে শুরু করেছে। কিন্তু পর্যাপ্ত সরবরাহ না থাকায় কিছুটা বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে খোলা তেল। তবে ক্রেতাদের দাবি, বাজারে এখনও পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যাচ্ছে না কোনো তেলই। হাসান নামে এক ক্রেতা জানান, দাম বাড়ানোর পরেও বাজারে পর্যাপ্ত তেল মিলছে না। যাও পাওয়া যাচ্ছে, সেটির জন্যও গুনতে হচ্ছে বাড়তি টাকা। দাম নির্ধারণের পর বাজারে মনিটরিং না থাকায় ফের সিন্ডিকেট করছে ব্যবসায়ীরা। স্বস্তির খবর নেই মাছের বাজারেও। মাছ বিক্রি হচ্ছে আগের বাড়তি দামেই। বাজারে প্রতি কেজি রুই ২৮০ থেকে ৪৫০ টাকা, কাতল ৩০০ থেকে ৪৮০ টাকা, চাষের শিং ৩৫০ টাকা, চাষের মাগুর ৪০০ টাকা, চাষের কৈ ২২০ থেকে ২৫০ টাকা, কোরাল ৫৫০ থেকে ৮০০ টাকা, টেংরা ৪৫০ থেকে ৬০০ টাকা, চাষের পাঙাশ ১৬০ থেকে ২৩০ টাকা ও তেলাপিয়া ১৬০ থেকে ২২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।এছাড়া, প্রতি কেজি বোয়াল ৬৫০ থেকে ৮০০ টাকা, পোয়া ৪৫০ টাকা, পাবদা ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, আইড় ৭৫০ থেকে ৯০০ টাকা, দেশি কৈ ১ হাজার ২০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা, শিং ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা, শোল ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা এবং নদীর পাঙাশ বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকায়। এদিকে, আমদানি কমের অজুহাতে ফের বাড়তে শুরু করেছে এলাচের দাম। বর্তমানে প্রতি কেজি এলাচ বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৬০০ টাকায়। এছাড়া বাজারে দারুচিনি ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা, জিরা ৬৫০-৭০০ টাকা, সাদা গোলমরিচ ১৪০০ টাকা, কালো গোলমরিচ ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকা, লবঙ্গ ১৬০০ থেকে ১৬৫০ টাকা ও তেজপাতা ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের দাবি ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়েরই। ক্রেতারা বলছেন, নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হয় না। এতে বিক্রেতারা ইচ্ছেমতো দাম বাড়ানোর সুযোগ পান। আর বিক্রেতারা বলছেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ইচ্ছেমতো দাম বাড়াচ্ছেন। বাজারে নিয়মিত অভিযান চালালে অসাধুদের দৌরাত্ম্য কমবে।

Facebook Comments Box
এই ক্যাটাগরির আরও খবর