মোঃ আশরাফ ইকবাল পিকলু
কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি ।
একের পর এক বেরিয়ে আসছে ভয়ংকর তথ্য । সম্প্রতি জেলা শিক্ষা অফিসার আল মামুন তালুকদারের অনিয়ম দুর্নীতি নিয়ে স্থায়ী কয়েকটি দৈনিক সংবাদপত্রে সংবাদ প্রকাশিত হলেও আল মামুন তালুকদার নিজেকে নির্দোষ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে । তিনি তার বিশ্বস্ত কিছু অসাধু শিক্ষকের মাধ্যমে জেলার কয়েকজন প্রধান শিক্ষকদেরকে ডেকে মনগড়া লেখা ও সাদা কাগজে জোরপূর্বক স্বাক্ষর করতে বাধ্য করানোর অপচেষ্টা করেন বলে জানা গেছে । আন অথরাইজ ঐ কাগজে কয়েকজন স্বাক্ষর করতে অস্বীকার করলে অস্বীকার করলে তাদেরকে বদলি সহ নানা হুমকি প্রদান করেন বলে একাধিক প্রধান শিক্ষক জানান । ভুক্তভোগী শিক্ষকদের মধ্যে অন্যতম হলেন তালবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষিকা দিলারা
জোয়াদ্দার, ও খোকসা জানিপুর পাইলট মাধ্যমিক বালিকা
বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষিকা সালমা খাতুন ।
তাদেরকে মুঠো ফোনে ডেকে বলেন একুশে ফেব্রুয়ারির
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে, জেলা অফিসারের কার্যালয়ে ডেকে নেন এরপর তাদের সামনে জেলা কর্মকর্তা আল মামুন তালুকদার নিজের স্বপক্ষে কিছু সাফাই গেয়ে কিছু লেখা কাগজ এবং সাদা কাগজে তাদেরকে স্বাক্ষর করতে বিভিন্নভাবে বল প্রয়োগ করতে থাকে এরপরেই ঘটে বিপত্তি । অশালীন আচরণসহ অপ্রকাশযোগ্য ভাষা ব্যবহার করতে থাকে । এ বিষয়ে ভুক্তভোগী দুই নারী শিক্ষিকা জানান একুশে ফেব্রুয়ারীর দিন আমাদেরকে ফোন করে ডেকে নেন এরপর দুটি কাগজ হাতে ধরিয়ে তাতে স্বাক্ষর করতে বলেন আমরা স্বাক্ষর করতে রাজি না হলে জেলা শিক্ষা অফিসার আল মামুন তালুকদার ও কুষ্টিয়া হাউজিং বালিকা বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষকসহ খুব বাজে ভাবে বকাবকি করতে থাকে এবং কিভাবে আমরা চাকরিতে থাকব তাও দেখে নেওয়ার হুমকি দেয় । এরপর থেকে আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতাই রয়েছি । একজন অভিভাবক যদি এমন আচরণ করে তাহলে আর কিছু বলার থাকে না এ ঘটনার পরদিন আল মামুন তালুকদার আমাদের মান হানি করতে বিভিন্নভাবে অপপ্রচার করতে থাকে । তথ্যসূত্রে আরও জানা যায় কুষ্টিয়া কোলকাকলি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও হাউজিং বালিকা বিদ্যালয়ে দুই দফা গোপনে মিটিং করেন মামুন তালুকদারের নেতৃত্বে । সেখানে কয়েকজন শিক্ষক-শিক্ষিকাকে ডেকে সাদা কাগজে স্বাক্ষরও করিয়ে নেন । এ ঘটনায় কুষ্টিয়া জেলাশিক্ষা অফিসার আল মামুন তালুকদারের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায়নি ।