1. admin@dakbela.com : admin :
শ্রীপুরে প্রসূতি রোগী মৃত্যু ঘটনায় হাসপাতাল ভাংচুর। - ডাক বেলা
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:২৮ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
পবিত্র কাবাঘরে ‌জয় বাংলা স্লোগান দেওয়া যুবক পদুয়ার হারুন কসবায় চিলড্রেন ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের মেধাবৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত নবীনগরে মোবাইল চুরির অপবাদ সহ্য করতে না পেরে যুবকের আত্মহত্যা শ্রীপুরে বোতাম তৈরি  কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড! আগুন নিয়ন্ত্রণে ৭টি ইউনিট  রাজশাহীতে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল স্বামী-স্ত্রী ও শ্যালিকার আরএমপি’র রাজপাড়া থানার নতুন ভবনের উদ্বোধন মিঠাপুকুরে ওয়াল্ডভিষণ CVA কর্ম-পরিকল্পনা সভা অনুষ্ঠিত। কালিয়াকৈর মডেল প্রেস ক্লাবের বাৎসরিক শিক্ষা সফর কক্সবাজার গোপালপুর দ্বী-মূখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ কসবায় বৃহত্তর কুমিল্লা জেলা কিন্ডারগাটের্ন এসোঃ বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

শ্রীপুরে প্রসূতি রোগী মৃত্যু ঘটনায় হাসপাতাল ভাংচুর।

ডাক বেলা ডেস্ক :
  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৪
  • ২১ বার পঠিত

মোঃ সুলতান মাহমুদ গাজীপুর প্রতিনিধি।

গাজীপুরের শ্রীপুরে সংকটাপন্ন এক প্রসূতি রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় উস্কানি ও ভুল তথ্যে ছড়িয়ে হাসপাতাল ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে।
রোগীর অবস্থা খারাপ থাকায় আল হেরা হাসপাতালে সিজার বা নরমাল ডেলিভারি কোনটি করা হয়নি।ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হলে এম্বুলেন্স যোগে সেখানে নিয়ে যান রোগীর স্বজনরা। পথিমধ্যে রোগী মারা গেলে মধ্যরাতে এসে হাসপাতালে করা হয় ভাংচুর।

গতকাল (১৩ অক্টোবর) রোববার রাতে উপজেলার মাওনা চৌরাস্তা এলাকায় আল-হেরা হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত প্রসূতি নারী ইসমত আরা বেগম (৩৮) উপজেলা মাওনা ইউনিয়নের সিংদিঘী গ্রামের মো. শফিকুল ইসলামের স্ত্রী।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, রোববার বিকেল চারটার দিকে একজন সংকটাপন্ন প্রসূতি রোগী আসে।
রোগীর অবস্থা খারাপ থাকায় জরুরিভাবে চিকিৎসা করেন গাইনোকোলজি ডাক্তার আয়েশা সিদ্দিকা।তখন রোগীর প্রেসার প্রায় ২০০ হতে ১১০ ছিল।
তা দেখে তড়িৎ গতিতে অক্সিজেন এবং চিকিৎসা শুরু হয়।রোগী শারীরিক অবস্থা অবনতি হতে থাকলে ৫ টার দিকে রোগীর অভিভজ সাথে পরামর্শ করে আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহে রেফার্ড করা হয়।
পরে তারা ময়মনসিংহ হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

প্রসূতির স্বামী শফিকুল ইসলাম বলেন,রোববার বিকেলে আমার ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে কিছুটা অসুস্থ অবস্থায় স্বাস্থ্য পরিক্ষার জন্য আলহেরা হাসপাতালে নিয়ে যাই।সেখানে স্ত্রীকে ভর্তি করানোর পর চিকিৎসা শুরু হয়।হঠাৎ করে চিকিৎসার অবনতি হতে থাকলে বিকেল পৌনে ৫ টার দিকে হাসপাতালের কর্তব্যরত ব্যক্তি জানান আমার স্ত্রীকে দ্রুত ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
পরবর্তীতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আমার স্ত্রীকে দেখে বলে রোগী অনেক আগে সে মারা গেছে।

আল হেরা হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ডাঃ মুহাম্মদ আবুল হোসাইন বলেন আমরা চিকিৎসা দেই মানুষকে সুস্থ করার জন্য মেরে ফেলার জন্য না। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হতে ফেরত আনা এই প্রসূতির মরদেহবাহী এম্বুলেন্স হাসপাতালের প্রধান ফটকে আসার পর হঠাৎ কিছু বোঝে ওঠার আগেই হাসপাতালে ভাংচুর শুরু করে। এ সময় কয়েক শতাধিক মানুষ এলোপাতাড়ি হামলা চালিয়ে হাসপাতালের স্টাফ কর্মচারীদের মারধর শুরু করে এবং ভাংচুর করা হয়েছে হাসপাতালের একটি এম্বুলেন্স।
ব্যাপক ভাংচুর চালানো হয় ফার্মেসীতে। বেশ খানিক পর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল,কেউ আইনের উর্ধ্বে নয়।প্রাথমিক তদন্তের পর হাসপাতালের ডাক্তার এর অবহেলার কারণে রোগীর মৃত্যুর ঘটনা প্রমাণ হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা নেওয়া যেতে পারে বা নেওয়া হউক।
কিন্তু হাসপাতাল ভাংচুর করা হলো কেন এর সুস্পষ্ট তদন্ত সাপেক্ষে আমি এ ঘটনায় জড়িতদের বিচারের জোর দাবি জানাচ্ছি।

Facebook Comments Box
এই ক্যাটাগরির আরও খবর