1. admin@dakbela.com : admin :
লাখো মুসল্লীর লাব্বাঈক ধ্বনিতে পবিত্র মক্কা নগরীতে হজ্জের আনুষ্ঠানিকতা - ডাক বেলা
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:০৫ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
পবিত্র কাবাঘরে ‌জয় বাংলা স্লোগান দেওয়া যুবক পদুয়ার হারুন কসবায় চিলড্রেন ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের মেধাবৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত নবীনগরে মোবাইল চুরির অপবাদ সহ্য করতে না পেরে যুবকের আত্মহত্যা শ্রীপুরে বোতাম তৈরি  কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড! আগুন নিয়ন্ত্রণে ৭টি ইউনিট  রাজশাহীতে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল স্বামী-স্ত্রী ও শ্যালিকার আরএমপি’র রাজপাড়া থানার নতুন ভবনের উদ্বোধন মিঠাপুকুরে ওয়াল্ডভিষণ CVA কর্ম-পরিকল্পনা সভা অনুষ্ঠিত। কালিয়াকৈর মডেল প্রেস ক্লাবের বাৎসরিক শিক্ষা সফর কক্সবাজার গোপালপুর দ্বী-মূখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ কসবায় বৃহত্তর কুমিল্লা জেলা কিন্ডারগাটের্ন এসোঃ বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

লাখো মুসল্লীর লাব্বাঈক ধ্বনিতে পবিত্র মক্কা নগরীতে হজ্জের আনুষ্ঠানিকতা

ডাক বেলা ডেস্ক :
  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ১৫ জুন, ২০২৪
  • ৬৪ বার পঠিত

সারোয়ার হোসাইন, নালিতাবাড়ী(প্রতিনিধি), শেরপুর।

আজ সৌদি আরবের মক্কা নগরীতে শুরু হয়েছে পবিত্র হজ্বের আনুষ্ঠানিকতা। পাঁচ দিনের হজ্জে ‘লাব্বাইক আল্লাহুমা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে মুখরিত হবে মিনা, আরাফাত ময়দান ও মুজদালিফা।হিজরি ১৪৪৫ সালের জিলহজ্জ মাসের ৮ তারিখ আজ। আরবি বর্ষপঞ্জিকার শেষ মাস জিলহজ্জের ৮ তারিখ থেকে শুরু হয় হজ্ব।এরপর ৯ জিলহজ্জ অবস্থান করতে হয় আরাফাহ ময়দানে। আর ১০ জিলহজে পশু কোরবানী করেন হাজ্বিরা।পশু কোরবানি শেষে আরও দুদিন থাকে হজ্বের বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতা। হজ্ব সম্পন্ন করতে সব মিলিয়ে পাঁচদিন সময় লাগে।প্রথম দিন হজ্বযাত্রীরা (পুরুষ) সেলাই ছাড়া ইহরাম বা সাদা কাপড় পরেন। অপরদিকে নারীরা ঢিলেঢালা পোশাক পরেন। এদিন আরও কিছু নিয়ম নীতি মানতে হয়। যেমন কারও সঙ্গে রাগারাগি না করা এবং যৌন সম্পর্কে লিপ্ত না হওয়া।
ইহরাম পরার পর হাজ্বিরা দলে দলে মিনায় যান। মিনায় হাজিরা ৮ জিলহজ্জ জোহর থেকে ৯ জিলহজ্জ ফজরসহ মোট পাঁচ ওয়াক্ত আদায় করবেন। ফজরের নামাজ আদায় করার পর তারা রওনা দেবেন ১৪ দশমিক ৪ কিলোমিটার দূরত্বের আরাফাতের ময়দানের উদ্দেশ্যে। আরাফাতের দিবসকে ধরা হয় মূল হজ্জের দিন । মিনা থেকে ৯ জিলহজ্জ ভোর থেকেই হজ্বযাত্রীরা ‘লাব্বাইক আল্লাহুমা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে আরাফাতের ময়দানে সমবেত হবেন। তাদের সমস্বরে উচ্চারিত ‘লাব্বাইক আল্লাহুমা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে মুখরিত হবে আরাফাতের আকাশ বাতাস। দুপুরে হজ্জের খুৎবা শুনবেন তারা। তারপর এক আজানে হবে জোহর ও আসরের নামাজ। সূর্যাস্তের পর হজ্বযাত্রীরা আরাফাতের ময়দান ত্যাগ করে যাত্রা করবেন নয় কিলোমিটার দূরের মুজদালিফার পথে। সেখানে আবার তারা এক আজানে আদায় করবেন মাগরিব ও এশার নামাজ। এ রাতে মুজদালিফায় হাজিরা খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করবেন।
এসময় তারা মুজদালিফা থেকে পাথর সংগ্রহ করবেন জামারায় প্রতীকী শয়তানকে নিক্ষেপের জন্য।পরদিন সকালে সূর্যোদয়ের পর জামারায় প্রতীকী বড় শয়তানকে লক্ষ্য করে ছোট সাতটি নুড়ি পাথর নিক্ষেপ করবেন হাজিরা। এরপর আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য পশু কোরবানী করবেন। কোরবানী করে মাথা মুণ্ডন করবেন। এহরাম খুলে পরবেন সাধারণ পোশাক। আবার কাবাঘর তাওয়াফ করবেন। সাফা-মারওয়ায় সাতবার সাঈ (চক্কর) করবেন। এরপর আবার ফিরে যাবেন মিনায়। এর পরদিন এবং তার পরদিন অর্থাৎ টানা দুইদিন দ্বিতীয় ও ছোট শয়তানকে পাথর নিক্ষেপের মধ্য দিয়ে শেষ হবে হজ্বের আনুষ্ঠানিকতা।
মহান আল্লাহ হজরত ইব্রাহিম আলাইহিস সালামকে (আ.) নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি যেন তার সবচেয়ে প্রিয় বস্তু আল্লাহর জন্য কোরবানি করেন। হজরত ইসমাইল (আ.) ছিলেন হজরত ইব্রাহিম আলাইহিস সালামের সবচেয়ে প্রিয়। মিনায় এ স্থানে তিনি আল্লাহকে খুশি করতে যখন নিজের সবচেয়ে প্রিয় পুত্রকে নিয়ে যান, তখন সেখানে উপস্থিত হয় শয়তান। যেটি নবী ইব্রাহিমকে আল্লাহর আদেশ অমান্য করতে প্ররোচনা দিচ্ছিল। ওই সময় ইব্রাহিম (আ.) শয়তানকে লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপ করেন। এখন হাজিরা এ স্থানে প্রতীকি শয়তানকে লক্ষ্য করে পাথর মারেন। ইব্রাহিম (আ.) যখন তার পুত্রকে কোরবানি করতে যান তখন সেখানে আল্লাহ তায়ালা একটি জান্নাতি দুম্বা এনে দেন এবং সাথে সাথে দুম্বা কোরবানি হয়ে যায়। ইসলাম ধর্মে সেই দিন থেকে কোরবানি শুরু হয়।

মিনার আনুষ্ঠানিকতা শেষে হাজিরা মক্কায় ফিরে যান এবং শেষবারের মতো কাবা তাওয়াফ করেন। যা ‘বিদায়ী তাওয়াফ’ নামেও পরিচিত।
নিজ বাড়িতে বা দেশে ফেরার আগে বেশিরভাগ হাজি মদিনায় হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের (সা.) রওজা মোবারক জিয়ারত করেন।

Facebook Comments Box
এই ক্যাটাগরির আরও খবর