1. admin@dakbela.com : admin :
মোহনগঞ্জ ৩০ লাখ টাকা নিয়ে উধাও ব্যাংক এশিয়ার ক্যাশিয়ার - ডাক বেলা
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৬ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
পবিত্র কাবাঘরে ‌জয় বাংলা স্লোগান দেওয়া যুবক পদুয়ার হারুন কসবায় চিলড্রেন ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের মেধাবৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত নবীনগরে মোবাইল চুরির অপবাদ সহ্য করতে না পেরে যুবকের আত্মহত্যা শ্রীপুরে বোতাম তৈরি  কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড! আগুন নিয়ন্ত্রণে ৭টি ইউনিট  রাজশাহীতে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল স্বামী-স্ত্রী ও শ্যালিকার আরএমপি’র রাজপাড়া থানার নতুন ভবনের উদ্বোধন মিঠাপুকুরে ওয়াল্ডভিষণ CVA কর্ম-পরিকল্পনা সভা অনুষ্ঠিত। কালিয়াকৈর মডেল প্রেস ক্লাবের বাৎসরিক শিক্ষা সফর কক্সবাজার গোপালপুর দ্বী-মূখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ কসবায় বৃহত্তর কুমিল্লা জেলা কিন্ডারগাটের্ন এসোঃ বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

মোহনগঞ্জ ৩০ লাখ টাকা নিয়ে উধাও ব্যাংক এশিয়ার ক্যাশিয়ার

SM shakil
  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ৬৬ বার পঠিত

ওমর ফারুক আহম্মদ (নেত্রকোণা জেলা প্রতিনিধি) :

নেত্রকোণা মোহনগঞ্জে গ্রাহকের প্রায় ৩০ লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছেন ‘ব্যাংক এশিয়া’র ক্যাশিয়ার সানোয়ার হোসেন সাগর।ক্যাশিয়ার সাগর (২৩) উপজেলার সমাজ-সহিলদেও ইউনিয়নের ব্যাংক এশিয়া শাখার ক্যাশিয়ার পদে কর্মরত ছিলেন। তিনি ইউনিয়নের সহিলদেও গ্রামের মঞ্জিল মিয়ার ছেলে।সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার সাত ইউনিয়ন পর্যায়ে শাখা খুলে ব্যাংক এশিয়া গরীব মানুষদের ব্যাংকিং সেবা দেওয়ার জন্য এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা শুরু করে। প্রতি ইউনিয়নের উদ্যোক্তা এ শাখা পরিচালনা করেন। মূল ব্যাংক থেকে উদ্যোক্তার নামেই শাখা পরিচালনার অনুমতি দেওয়া হয়।সমাজ-সহিলদেও ইউনিয়নের ব্যাংক এশিয়া শাখা অফিসের অবস্থান মোহনগঞ্জ পৌরশহরের পাথরঘাটা এলাকায়। ব্যাংকটির পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন ইউয়িনের উদ্যোক্তা সাইদুল ইসলাম রাসেল। এছাড়াও শাখাটিতে ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত আছেন মাকসুদ রানা, অ্যাকাউন্টের দায়িত্বে আছেন মুন, আর ক্যাশিয়ার পদে সানোয়ার হোসেন সাগর। পরিচালক ছাড়া ওই তিনজনই নিয়মিত ব্যাংকিং সেবা দিয়ে থাকেন। তবে মাকসুদ রানা শুধু সমাজ-সহিলদেও ইউনিয়ন শাখার ম্যনেজারই নন, তিনি সবগুলো শাখার ম্যানেজারের দায়িত্ব সামলান।

ভুক্তভোগী, স্থানীয় লোকজন ও ব্যাংকে কর্মরতদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গ্রাহক ও পরিচতিদের কাছ থেকে প্রায় ৩০ লাখ টাকা নিয়ে আগস্টের ৮ তারিখ এলাকা ছেড়ে পালায় ক্যাশিয়ার সাগর। পরে টাকা উধাও হওয়ার খবর পেয়ে সাগরকে খুঁজে না পেয়ে ১৭ আগস্ট থানায় অভিযোগ করেন মো. বজলুর রহমান নামে এক গ্রাহক।পৌরশহরের টেংগাপাড়ার বাসিন্দা স্কুল শিক্ষিকা জাকিয়া সুলতানা ও তার স্বামী সাবেক কৃষি ব্যাংক কর্মকর্তা বজলুর রহমান তালুকদার দম্পতি গত আগস্ট মাসের শুরুতে ব্যাংক এশিয়ার সমাজ-সহিলদেও শাখায় তিন দফায় মোট ২২ লাখ টাকা জমা রাখেন।জাকিয়া সুলতানা জানান, আমার স্বামীর পেনশনের টাকাসহ সংসারের জমানো টাকা বিভিন্ন ব্যাংক ও পোস্ট অফিসে জমা ছিল। সেখান থেকে তুলে ব্যাংক এশিয়ায় জমা রাখি। ক্যাশিয়ারের দায়িত্বে থাকা সাগর অ্যাকাউন্ট খোলা থেকে শুরু করে সব কাজ করে দেয়। প্রথমে ৮ লাখ টাকা জমা রাখি সেগুলো ব্যাংকে জমা হয় ঠিকঠাক মত। পরে দুই দফায় ১৪ লাখ টাকা জমা করি, সেগুলো ব্যাংকের জমা দেওয়ার রশিদে নাম ঠিকানা লিখে টাকা দিয়ে আসি সাগরের কাছে। এরমধ্যে একদিন রাতে সাগর আমাদের বাসায় তার ব্যাংকের ল্যাপটপ নিয়ে এসে বলে হেড অফিসে তথ্য পাঠাতে হবে এখানে আঙ্গুলের চাপ দিন। সরল বিশ্বাসে দিলাম। পরে তার মোবাইল সমস্যা বলে আমার মোবাইলটা নিল কার সঙ্গে জানি কথা বলার জন্য। এরপর চলে গেল। দুইদিন পর ব্যাংকে গিয়ে জানলাম ওই ১৪ লাখ তো ব্যাংকে জমা দেয়নি, জমা হওয়া ৮ লাখ টাকাও তুলে নিয়ে পালিয়েছে সাগর।তিনি আরও বলেন, পরে থানায় অভিযোগ করেছি। এখনো সাগরকে ধরতে পারেনি পুলিশ। ব্যাংকে টাকা রাখতে গেলে যদি এমন হয় তাহলে মানুষ যাবে কোথায়?
মেদি পাথরকাটা গ্রামের রবিনের বাবা মোহাম্মদ আলী খান জানান, আমার ছেলে রবিনের ৬০ হাজার টাকা ব্যাংকে জমা ছিল। সাগর প্রতারণা করে বিভিন্ন কথা বলে হাতের চাপ নিয়ে সেই টাকা তুলে নিয়ে পালিয়েছে। এলাকায় সাগর ও তার পরিবারের রেকর্ড খারাপ। এমন একটা ছেলেকে ব্যাংকের ক্যাশিয়ার পদে দায়িত্ব দেওয়া ঠিক হয়নি।ব্যাংকের পরিচালক ও ইউনিয়ন উদ্যোক্তা সাইদুল ইসলাম রাসেল বলেন, ব্যাংকে তো আমি তেমন বসি না। ওই তিনজনই চালায়। কিভাবে কি হয়েছে সেটা সাগরকে খুঁজে পাওয়া গেলেই জানা যাবে। তবে লেনদেনের ক্ষেত্রে গ্রাহকদের সতর্ক হতে হবে।ব্যাংক ম্যানেজার মাকসুদ রানা বলেন, ব্যাংকের গ্রাহকের ও তার ব্যক্তিগত লেনদেনের সব মিলিয়ে ৩০ লাখ টাকার মত নিয়ে গেছে সাগর। এমন অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। তবে ব্যাংকে টাকা জমা রাখলে বা তুলে নিলে মোবাইলে ম্যাসেজ যায়। আমাদের পুরো সিস্টেমটাই ডিজিটাল। এখন সাগরকে পাওয়া গেলে সব পরিষ্কার হবে।সমাজ-সহিলদেও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম খান সোহেল বলেন, ব্যাংকিং কার্যক্রমে কোনো সমস্যা হয়নি। ব্যাংকে চেক করে দেখা হয়েছে- ওই দম্পতি ৮ লাখ টাকা জমা করেছিলেন। পরে আবার সেই টাকা তারা তুলে নিয়েছেন। সাগর যেহেতু পলাতক রয়েছে তাই কি ঘটেছে সঠিক বলা যাচ্ছে না। পলাতক থাকায় টাকা নিয়ে পালিয়েছে বলেই সন্দেহ ঘনীভূত হচ্ছে। সাগরের পরিবারকেও চাপ দেওয়া হয়েছে তাকে খুঁজে বের করে দিতে। এদিকে, পুলিশও তাকে খুঁজছে। সাগর বের হলেওই পুরো বিষয়টা পরিষ্কার হবে। তবে সচেতন পরিবার হিসেবে টাকা জমা হওয়া বা তুলে নেওয়ার ব্যাপারে মোবাইলের ম্যাসেজ দেখে নিশ্চিত হওয়া উচিত ছিল তাদের।অভিযুক্ত সাগরের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কল করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা মোহনগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শুভ্র দে শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বলেন, তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় সাগরকে ধরতে চেষ্টা চলছে। একবার ঢাকায়, আরেকবার নারায়ণগঞ্জে তার অবস্থান শনাক্ত হয়েছে। ঘন ঘন জায়গা পরিবর্তন করছে সাগর। দ্রুতই তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।

Facebook Comments Box
এই ক্যাটাগরির আরও খবর