1. admin@dakbela.com : admin :
বন মালির দাপটে কোণঠাসা অফিসে অন্যরাও,উজার বন - ডাক বেলা
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৬ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
পবিত্র কাবাঘরে ‌জয় বাংলা স্লোগান দেওয়া যুবক পদুয়ার হারুন কসবায় চিলড্রেন ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের মেধাবৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত নবীনগরে মোবাইল চুরির অপবাদ সহ্য করতে না পেরে যুবকের আত্মহত্যা শ্রীপুরে বোতাম তৈরি  কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড! আগুন নিয়ন্ত্রণে ৭টি ইউনিট  রাজশাহীতে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল স্বামী-স্ত্রী ও শ্যালিকার আরএমপি’র রাজপাড়া থানার নতুন ভবনের উদ্বোধন মিঠাপুকুরে ওয়াল্ডভিষণ CVA কর্ম-পরিকল্পনা সভা অনুষ্ঠিত। কালিয়াকৈর মডেল প্রেস ক্লাবের বাৎসরিক শিক্ষা সফর কক্সবাজার গোপালপুর দ্বী-মূখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ কসবায় বৃহত্তর কুমিল্লা জেলা কিন্ডারগাটের্ন এসোঃ বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

বন মালির দাপটে কোণঠাসা অফিসে অন্যরাও,উজার বন

SM shakil
  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ৮৪ বার পঠিত

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে এক বনমালির দাপটে কোণঠাসায় একটি বন অফিসে (বনবিট) কর্মরত অন্যরাও। সাবেক উধ্বর্তক কর্মকর্তার পরিচয়ে একাই তিন বন অফিসে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন ওই মালি। তার বনভুমি বাণিজ্যের কবলে পড়ে অতিষ্ট স্থানীয় সাধারন মানুষও। ফলে উজার হয়ে যাচ্ছে বন ও ভুমি। সাবেক এক উধ্বর্তন কর্মকর্তার আত্মীয়তা পরিচয়ে ওই বনমালি এমন অপকর্ম করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
অভিযুক্ত ওই বন মালির নাম হাসেম আলী। তিনি কালিয়াকৈর রেঞ্জের আওতাধীন গাজীপুরের কড্ডা বন অফিসে দায়িত্বরত আছেন।
এলাকাবাসী, ভুক্তভোগী পরিবার ও ও বন অফিস সুত্রে জানা গেছে, সাবেক এক উধ্বর্তন বন কর্মকর্তা (সিসিএফ) আতœীয়ের পরিচয়ে নানা অপকর্ম করে যাচ্ছেন বনমালি হাসেম। তার দাপটে কোণঠাসায় রয়েছে কালিয়াকৈর রেঞ্জের আওতাধীন রগোনাথপুর বন অফিসে কর্মরত অন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও। স্থানীয়দের অভিযোগ, বনমালি হাসেমের নেতৃত্বে ওই বন অফিসের সোনাতলা ক্যাম্পের আশপাশে বেশি বনের জমি জবর-দখল করছে ভুমিদুস্যরা। পারভেজ মিয়ার একটি মৎস্য খামার, বন বিভাগ কর্তৃক সৃজিত বাগান কেটে ফিরোজ মিয়ার ধান চাষ ও মৎস্য খামার, সোনাতলা বাজারে কয়েকটি দোকান, হোসেন মার্কেট বাজারে দোকান নির্মাণ, হুনাবাড়ি এলাকায় আবুল কাশেমের মৎস্য খামার, ফকির মার্কেট এলাকায় সৃজিত সুফল বাগান কেটে রঙ্গিন টিনের ঘর, আলাল উদ্দিনের ঘর, বঙ্গবাজার এলাকায় লেহাজ উদ্দিনের ঘর, হাসেমের বাগানের ২০টি গাছ কেটে দুইটি খামার একত্রিত করণ, বনের জমি ভরাটসহ নানা স্থাপনা গড়ে উঠেছে। আর এ সুযোগে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন বন মালি হাসেম। তার অর্থ বাণিজ্যের কবলে পড়ে এভাবে বেদখল হচ্ছে বনের জমি ও উজাড় হচ্ছে বন। এতে পরিবেশ ও প্রাণীকুলের বিপর্যয় ঘটছে। এছাড়াও তাকে টাকা না দিয়ে বাড়ির পুরাতন টিন পর্যন্তও বদলানো যায় না বলেও অনেকের অভিযোগ। আবার তাকে টাকা দিয়ে কাজ না হওয়ায় ওই ঘুষের টাকা ফেরত পাওয়ার আশায় স্থানীয় মাতাব্বরদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন অনেকে। ওই মালি বন অফিসের কারো কথা শুনেন না। কেউ তার কাজে বাধা দিলে ক্ষিপ্ত হয়ে চাকুরী খাওয়ার হুমকিও দেন মালি হাসেম। তবে এমন দুর্নীতিগ্রস্থ মালির বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
মানুষ আমাদের দুচারটা টাকা দেন স্বীকার করে অভিযুক্ত হাসেম আলী জানান, ডিএফও আমাকে কড্ডা. ভাওয়াল মির্জাপুর, রগোনাথপুর বিটে তিন অফিসে অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়েছেন। আর এখানে আমার একক সিদ্ধান্ত নেওয়ার কিছু নাই। যা করি, সকলে মিলেই করি। এছাড়া উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এলে তাদের পিছনে অনেক টাকা-পয়সা খরচ হয়। এটা আমাদের বেতন থেকে খরচ করবো?
এব্যাপারে ওই রঘুনাথপুর বন অফিসের কর্মকর্তা মাসুম উদ্দিন জানান, আমার অন্যত্র পোষ্টিং হয়ে গেছে। এখানে আমার বক্তব্য দেওয়ার কিছু নেই। তবে এসব বিষয় জানার জন্য তার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
কালিয়াকৈর রেঞ্জ কর্মকর্তা মনিরুল করিম জানান, শুনেছি ওই মালি হাসেম আমাদের পুরাতন সিসিএফ স্যারের ভাতিজা। তিনি এক সাথে তিনটি অফিসের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন। তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিলে উপর থেকে আমাদের চাপ আসবে। তারপরও তাকে তার নিজ কর্মস্থলে পাঠনোর জন্য চেষ্টা করবো।

Facebook Comments Box
এই ক্যাটাগরির আরও খবর