কাবিল উদ্দিন কাফি,সিংড়া (নাটোর)প্রতিনিধিঃ
বিশালতার দিক থেকে দেশের অন্যতম বড় বিল চলনবিল।বর্ষায় সাগরের মতো রুপ ধারন করে এই চলনবিল
ষড়ঋতুর এই দেশে প্রতি ঋতুতে ভিন্ন ভিন্ন রূপে দেখা যায় চলনবিলকে। বর্ষার চলনবিলের রুদ্র মূর্তি এখন শান্ত, জলরাশি স্থির। নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা। নানা রঙের ফুল, হরেক রকম পাখির কলরব। এ যেন প্রকৃতির এক অপরূপ সাজ ভূসর্গীয় রুপে সেজেছে বৃহত্তম এই চলনবিল। ১০৩ বর্গমাইলের এই বৃহত্তম চলনবিল শুকনো মৌসুমে আয়তনের দিক থেকে কমে গেলেও বর্ষায় বৃদ্ধি পায় আবার গ্রীস্মে এই বিল তার অন্য রূপ ধারণ করে।
অথৈ জলের এই চলনবিলের বুকচিরে পাল তোলা নৈকা,জেলেদের ডিঙি,বনিকদের খরের নৌকা অপরুপ সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে চলনবিলের
নাটোর-সিরাজগঞ্জ-পাবনা জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে এ বিলের অবস্থান হলেও বৃহত্তম এই চলনবিলের এক অংশের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছে সিংড়ার চলনবিল।অবকাঠামোগত উন্নয়ন, চলনবিল পর্যটন কেন্দ্র,চলনবিলের বুকচিরে যাওয়া সাবমার্সিবল রাস্তা,ঐতিহ্যবাহী তিশিখালি মাজার মন জয় করে আগত অতিথিদের।
দেখা যায়, বিস্তৃত জলরাশির বুকে ঢেউ ভাঙার খেলা। মাঝেমধ্যে দিগন্ত রেখায় সবুজের আলপনা। এরমধ্যে ঢেউ ভেঙে ছুটে চলেছে যান্ত্রিক শ্যালো নৌকা। আছে মাছ ধরার বিচিত্র আয়োজনও। এটাই বর্ষা মৌসুমের চলনবিল। জীব বৈচিত্র্যের বিপুল সমাহার।
বর্ষার আগমনে চলনবিলের প্রান ফিরলে সতেজ থাকে প্রায় ৬মাস পরে শুকনো মৌসুমে পানি না থাকলেও কৃষকের ফসলে সবুজের সমারোহ এবং অতিথি পাখির আগমনে অনন্য রুপে মেতে থাকে চলনবিল