হেড অফ ক্রাইম
জাতীয় দৈনিক ডাকবেলা :
চিকিৎসা নিতে আসা বিভিন্ন প্রসূতি মা ও নবজাতকের ভোগান্তির বিষয় তুলে ধরে গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার বোনারপাড়ার আলোচিত সমালোচিত সবুজ বাংলা জেনারেল হাসপাতালের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। শুক্রবার বিকেলে ভরতখালী ইউনিয়নের রেলওয়ে স্টেশন প্রাঙ্গণে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মানববন্ধনে বক্তরা হাসপাতাল নিয়ে প্রকাশিত অতীতে একাধিক পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্টের ভিত্তিতে রোগীর চিকিৎসা নিতে এসে মৃত্যু সহ অনিয়মের বিষয়ে বক্তব্য প্রদান করেন। এ বিষয়ে আবু সাদাত সরকার জানান, এই হাসপাতালে সিজার করতে গিয়ে কখনো প্রসূতি কখনো নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতাল সংশ্লিষ্টগণ প্রভাবশালী হওয়ায় এ ধরণের ঘটনা ঘটার পরেও ভুক্তভোগীরা বেশিরভাগই অভিযোগ করতে ভয়পায়।
বেশ কিছুদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন সাংবাদিকদের আইডি থেকে জানতে পাওয়া যায় সিজার করতে আশা জনৈক প্রসূতি নাজমার মূত্রনালী ভুলবশত কেটেফেলেছেন সবুজ বাংলা জেনারেল হাসপাতালের এক চিকিৎসক। এ নিয়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।সে বিষয়ে সাঘাটা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে থানা সূত্রে জানাযায়। ঘটনা শেষ হতে না হতেই গত দুই দিন আগে আরজিনা আক্তার নামের এক নারীর সিজার করার পর সফল ভাবে সন্তান ডেলিভারি হলেও ঐ নারীর মৃত্যু হয়। এই মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এলাকাবাসীর মাঝে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়। ভুক্তভোগীর পরিবারের সাথে কথা হলে মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করতে ভয়পাচ্ছে বলে জানায় তারা। চাঞ্চল্যকর ঘটনার দুই দিন পর সিজার করা উক্ত চিকিৎসক রায়হান সোবহান ও অত্র হাসপাতালের সাইফুল ইসলাম মৃত্যু হওয়া নারীর ভাইয়ের বাড়িতে নবজাতক শিশুকে দেখতে আসেন। তাদের নবজাতক শিশুকে দেখতে আসার কারণ জানতে চাইলে সাইফুল ইসলাম জোর গলায় জানান, এটা নাকি মানবিক দায়িত্বের মধ্যে পরে তাই অবশ্যই আসতে পারি। মৃত্যুর কারন জানতে চাইলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. রায়হান সোবাহান ও সাইফুল ইসলাম জানান, কি কারণে মারা গিয়েছে আমরাও বুঝে উঠতে পারছি না। গত ১৮ এপ্রিল প্রসূতির মূত্রনালি কেটে ফেলার অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে, চিকিৎসক রায়হান উত্তর প্রদান করতে সম্মত হলেও সাইফুল ইসলাম চিকিৎসক রায়হানকে ধমক দিয়ে থামিয়ে দেন।
উল্লেখ্য একাধিক অভিযোগ উঠেছিল এই হাসপাতালের বিরুদ্ধে। বিগত ১৩/০৯/২০২৩ ইং তারিখে ডা. রায়হান সোবাহান ও অত্র হাসপাতালের পরিচালক ডা. এটিএম রাশেদুন্নবীর বিরুদ্ধে সম্মিলিতভাবে আরিফ হাসান মাহিদ, শাহিনুর আলম প্রধান ও খায়রুল আলম তাদের দায়েরকৃত অভিযোগ চাপের মুখে আপোষ মিমাংসার জন্য প্রত্যাহার করেছেন।
কি এমন চাপ- এই আপোষ মীমাংসায় ? জানাতে যানাতে চায়না কেউ-ই
বারংবার এধরণের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হওয়ায় মানববন্ধনে ক্ষোভ প্রকাশ করে বিচারদাবী করেছেন উপস্থিত বক্তারা ।