স্টাফ রিপোর্টার,রাজশাহী :
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী ও রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) ওমর ফারুক চৌধুরীসহ দেড় শতাধিক নেতাকর্মীর নামে গোদাগাড়ী থানায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। দায়েরকৃত মামলা দুটিতে ফারুক চৌধুরীকে হুকুমের আসামি করা হয়েছে।
তবে সরকার পতনের পর থেকে আসামিরা পলাতক।
রাজশাহীর গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান সোমবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ওসি জানান, গত রোববার (২৫ আগস্ট) রাতের মধ্যে পরপর এ দুটি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। তবে আসামিরা সবাই পলাতক। তাই মামলা দুটি তদন্তের পাশাপাশি তাদের গ্রেপ্তারের জন্যও শিগগিরই অভিযান শুরু হবে।
ওসি আতাউর রহমান জানান, রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার ফরাদপুর গ্রামের বিএনপি কর্মী আব্দুল হামিদ বাবলু বাদী হয়ে প্রথম মামলাটি করেছেন। তার মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী ওমর ফারুক চৌধুরীর নির্দেশে উপজেলা সদর ডাইংপাড়া মোড়ে গত ৫ আগস্ট আন্দোলনরত ছাত্রজনতার ওপর হামলা চালানো হয়।
ওইদিন হামলার সময় গুলিও বর্ষণ করা হয়। ওই ঘটনায় বেশ কিছু শিক্ষার্থী আহত হন। তাই ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলা ও গুলিবর্ষণের অভিযোগে মামলাটি করা হয়েছে। আর এতে ওমর ফারুক চৌধুরীসহ আওয়ামী লীগের আরও ৪৪ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও ৫০০ থেকে ৬০০ জন নেতাকর্মীকে।
আর গোদাগাড়ী থানার দ্বিতীয় মামলাটি করেছেন এ উপজেলার লস্করহাটি গ্রামের তসিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি। তার মামলার এজাহারে বলা হয়েছে- ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় গোদাগাড়ী উপজেলার লস্করহাটি কেন্দ্রে ভোট চলাকালে নিজের পক্ষের নেতাকর্মীদের দিয়ে নৌকায় সিল মারিয়েছেন ওমর ফারুক চৌধুরী। এ মামলায় তাই সাবেক সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরীকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এজাহারনামীয় ২২ জন আসামি ছাড়াও এ মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও ৫০ থেকে ৬০ জনকে।