আশিকুর রহমান, মিঠাপুকুর প্রতিনিধি-
রংপুরের মিঠাপুকুরে ভাংনী আহমাদিয়া ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসার সহকারী অধ্যাপিকা ও যুব মহিলা লীগের নেত্রী শাহনাজ বেগমের দায়ের করা মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে ন্যায় বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভাংনী আহমাদিয়া ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবু সালেহ মোহাম্মদ জাকারিয়া ও ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক প্রভাষক শফিকুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (১২- ডিসেম্বর) বিকাল তিনটার সময় মিঠাপুকুর প্রেসক্লাবের হলরুমে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবু সালেহ মোহাম্মদ জাকারিয়া জানান, ভাংনী আহমাদিয়া ডিগ্রি ফাজিল মাদ্রাসার সহকারী অধ্যাপিকা ও রংপুর জেলা যুব মহিলা লীগের নেত্রী শাহনাজ বেগম (বিউটি) আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে দলীয় প্রভাব বিস্তার করে জাল সনদ দিয়ে অবৈধভাবে চাকরিতে যোগদান করেন। তিনি যোগদান করার পর থেকে প্রতিষ্ঠানে না গিয়ে নিয়মবহির্ভূত ভাবে বেতন উত্তোলন করে আসছিলেন। এ বিষয়ে বিরোধিতা করায় শাহনাজ বেগম ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবু সালেহ মোহাম্মদ জাকারিয়া সহ কয়েকজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করে আসছিলেন।
ঘটনার দিন, মঙ্গলবার (১০-সেপ্টেম্বর) বিকাল আনুমানিক দুপুর দুই টার সময় তিনশতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত থাকাকালীন সময়ে শাহনাজ বেগম ভাংনী আহমাদিয়া ডিগ্রি ফাজিল মাদ্রাসায় প্রবেশ করেন। প্রতিষ্ঠান ত্যাগকালে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শাহনাজ বেগমকে বলেন, নিয়মিত ক্লাস নিবেন।বাচ্ছারা আছে আজকে একটা ক্লাস নেন। কিন্তু শাহনাজ বেগম ক্লাশ না নিয়ে রাগ করে চলে যান। পরে আবু সালেহ মোহাম্মদ জাকারিয়া জানতে পারেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আদালতে শাহনাজ বেগম কথিত একটি ধর্ষণ চেষ্টা মামলা দায়ের করেছেন। মামলার বিবরণে তিনি উল্লেখ্য করেন, ঘটনার সময় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবু সালেহ মোহাম্মদ জাকারিয়া তাকে অফিস কক্ষে ডাক দিলে তিনি সরল বিশ্বাসে সেখানে যান। অফিস কক্ষে যাওয়ার পর আবু সালেহ মোহাম্মদ জাকারিয়া একা পেয়ে তাঁকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করেন। তিনি চিৎকার দিলে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তাকে ছেড়ে দেয়। এসময় দুই কথিত স্বাক্ষীর কথাও তিনি উল্লেখ্য করেন। পরে তিনি বিষয়টি বাহিরে জানানোর জন্য যেতে চাইলে ইংরেজি প্রভাষক শফিকুল এবং শিক্ষক শাহিন আখতার তাকে মারধর করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়, কথিত স্বাক্ষী দেখিয়ে মামলা করলেও রংপুর জেলা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আবু মোহাম্মদ সিদ্দিকুজ্জামান এই মামলায় বাদী দ্বারা প্রভাবিত হয়ে আদালতে মিথ্যা প্রতিবেদন দাখিল করেন। যাহা সম্পূর্ণ মিথ্যা,ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। ইংরেজি প্রভাষক শফিকুল ইসলাম জানান, মামলার স্বাক্ষীরা ইতিমধ্যেই এই মামলা মিথ্যা বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। ছাত্রছাত্রী সহ শিক্ষকরা বিভিন্ন দপ্তরে মিথ্যা মামলার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিদ্দিকুজ্জামান বলেন, আমি যা তদন্তে পেয়েছি তাই দিয়েছি। এর বাহিরে আমার বলার কিছু নাই।
ঘটনার বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত শাহনাজ বেগম বিউটির সঙ্গে তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
আশিকুর রহমান ,
মিঠাপুকুর প্রতিনিধি,
ফোন-০১৭৩৫৯৭৯০৮৭