হাফিজুর রহমান (যশোর) প্রতিনিধি
মানুষ কষ্ট পায় এমন কাজ করা থেকে আমাদের বিরত থাকতে হবে। সকলে মিলে মিশে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। মানুষের মন জয় করতে আমাদের কাজ করে যেতে হবে। তারেক রহমান মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁর নির্দেশনা আমাদের মেনে চলতে হবে। শেখ হাসিনা বিএনপির ক্ষতি করার হাজারো চেষ্টা চালিয়েছিল। বেগম খালেদা জিয়াকে মৃত্যুর মূখে ঠেলে দিয়েছিল। গত ১৬টি বছর ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার মানুষের কথা বলার অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দিয়েছিল। গুম ,খুন আর মিথ্যা মামলা দিয়ে একটি নির্বিকার রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল হাসিনা। তাতে রেহাই পায়নি হাসিনা। চোরের মত পালিয়েছে গেছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জননেতা তারেক রহমান কর্তৃক ঘোষিত ইউনিয়ন কৃষক দলের সমাবেশ সফল করার লক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে থানা কৃষক দলের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও থানা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব আবুল হোসেন আজাদ। তিনি আরো বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আমরা নিশ্বাস নিতে পারতাম না। ৫ আগস্টের পর থেকে আমরা কথা বলার অধিকার ফিরে পেরেছি। এর মানে এই না যে আমরা ক্ষমতায় চলে এসেছি। আমাদের মানুষের কাছে যেতে হবে । ভালবাসা দিয়ে মানুষের ভোট আদায় করতে হবে। নির্দলীয় সরকার একটি নিরপক্ষ ভোট দিবে। সেই ভোটে আমাদের জয়ী হয়ে ক্ষমতায় যেতে হবে।
থানা কৃষক দলের আহ্বায়ক নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব কেএম আজিজের সঞ্চালনায় দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ওই সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পৌর বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুস সামাদ বিশ্বাস, থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক আব্দুর রাজ্জাক, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শেখ শহিদুল ইসলাম, জেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব সিকদার সালাউদ্দীন, যুগ্ম-আহ্বায়ক শেখ জাকির হোসেন, প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা কৃষক দলের সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক হাবিবুল ইসলাম কচি।
এছাড়া বক্তব্য রাখেন ত্রিমোহিনী ইউনিয়ন কৃষক দলের সভাপতি মহির উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন, সাগরদাঁড়ী ইউনিয়ন কৃষক দলের সভাপতি আরিফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আকুল হোসেন, মজিদপুর ইউনিয়ন কৃষক দলের সভাপতি জালাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন, বিদ্যানন্দকাটিং ইউনিয়ন কৃষক দলের সভাপতি আফছার শেখ, সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন, মঙ্গলকোট ইউনিয়ন কৃষক দলের সভাপতি আশরাফ সরদার, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, সদর ইউনিয়ন কৃষকদলের সভাপতি হাবিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান, পাঁজিয়া ইউনিয়ন কৃষকদলের সভাপতি ইকবাল হোসেন, সুফলাকাটি ইউনিয়ন কৃষকদলের সভাপতি ইউপি সদস্য কালাম পাটোয়ারী, সাতবাড়িয়া ইউনিয়ন কৃষক দলের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম, হাসানপুর কৃষক দলের সভাপতি আবু হাসান, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোড়ল প্রমূখ। এ সময় থানা ও ১১টি ইউনিয়ন কৃষক দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।