এস কে সুমন : আজ ১৮ই জানুয়ারী, ২০২৪ইং রোজ বৃহষ্পতিবার সকাল ১১:০০ ঘটিকার সময় কুষ্টিয়া হাটশ হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদ এর সামনে বিশ্ব নন্দিত সাঁতারু, সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব হরিপুরের শালদাহ গ্রাম তথা কুষ্টিয়ার গর্ব বীর মুক্তিযোদ্ধা সাঁতারু কানাই লাল শর্মা’র প্রতিকৃতি (ম্যুরাল) ফলক উন্মোচন করা হয়।
এম মুশতাক হোসেন মাসুদ ( চেয়ারম্যান, হাটশ হরিপুর ইউপি) এর পরিকল্পনা ও বাস্তবায়িত এ ফলকটি উন্মোচন করেন জনাব মোঃ আমিরুল ইসলাম ( সাধারন সম্পাদক, জেলা শিল্পকলা একাডেমী, কুষ্টিয়া) এ সময় সঙ্গে ছিলেন, কানাই লাল শর্মার সহধর্মিনী বিনা শর্মা, কাজল শর্মা ( ছেলে), কাব্য দেব শর্মা (নাতি) কাকন শর্মা স্পর্শ ( নাতনী)।
আরো উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ সালামত আলী, লেখক গবেষক মোঃ আমজাদ হোসেন, পিপাসা সংস্থা প্রধান নির্বাহী শ্যামল কুমার চৌধুরী, মানবাধিকার নাট্য পরিষদের মোঃ কায়য়ুম, জনাব মোঃ শামসুজ্জান , মোঃ জাকারিয়া ইসলাম মিতুল (প্রতিকৃতি শিল্পি) সহ হরিপুর ইউপির সম্মানিত সদস্যবৃন্দ এবং স্থানীয় গন্য মান্য ব্যক্তি বর্গ।
প্রতিকৃতি উন্মোচন শেষে ইউনিয়ন পরিষদের হল রুমে জনাব এম মুশতাক হোসেন মাসুদ এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন ও স্বরচিত কবিতা পাঠ করে শোনান শ্যামল চৌধুরী, জনাব আমজাদ হোসেন, জনাব মোঃ বজলার রহমান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোঃ আমিরুল ইসলাম বলেন, আমি সত্যিই আজ আনন্দিত যে এমন একজন কৃতি সন্তানের প্রতিকৃতি ফলক উন্মোচন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পেরেছি। তিনি আরো জানান যে, ১৯৭১ স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় কৃষ্ণনগর(ভারত) চার্চ এর লালদিঘীতে মুক্তিফৌজের সাহায্যার্থে একটানা ৯০ ঘন্টা ১৭ মিনিট সাঁতার দিয়ে অর্জিত প্রায় ১১০০০(এগার হাজার) টাকা তৎকালীন সরকারের হাতে তুলে দেন।
সভাপতির বক্তব্যে চেয়ারম্যান (হরিপুর ইউপি) সাহেব বলেন, আমরা আজ যেমন সাঁতারু কানাই লাল শর্মা’র প্রতিকৃতি করেছি তেমন এই ইউনিয়নে আরো যারা কৃতি সন্তান ছিলেন তাঁদেরও স্মৃতি ফলক বা ম্যুরাল তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে যাতে নতুন প্রজন্ম তাদের সম্পর্কে জেনে অনুপ্রানিত হতে পারে। এ বিষয়ে সংস্লিষ্ট পরিবার গুলোকে এগিয়ে আসার জন্য আহবাণ জানান।