ওমর ফারুক আহম্মদ (নেত্রকোণা জেলা প্রতিনিধি) :জমি
ভাগবাটোয়ারা নিয়ে দীর্ঘদিন ভাইবোনের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ লেগে আছে। প্রতিদিন কোন না কোন বিষয় নিয়ে উভয়ের মধ্যে ঝামেলা হয়। এক পর্যায়ে বোনের উপর জয়ী হতে ভাই নিজ মেয়েকে দিয়ে আদালতে ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। ঘটনাটি নেত্রকোণা বারহাট্টা উপজেলা আসমা ইউনিয়ন এর আসমা পশ্চিম পাড়া গ্রামে ঘটেছে।ধর্ষণ মামলাটি নেত্রকোণা আদালতে দায়ের করা হয়েছে। নারী ও শিশু মোকদ্দমা নং ৬০৪ /২০২৩।
সঠিক বিচারের আশায় ভুক্তভোগী রাবিয়া আক্তার ১৪ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ১০ ঘটিকায় উপজেলা প্রেসক্লাবের সামনে নিজ ছেলে আনোয়ার হোসেন এর উপর তার ভাই শাহজাহান ও ভাতিজি মালা আক্তারের করা মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেন। এতে রাবিয়ার পরিবার ও এলাকাবাসী অংশগ্রহণ করেন।
রাবিয়া আক্তার কেঁদে কেঁদে বলেন আমার ছেলে গুলো এতিম। থাকার জন্য আমার সন্তানদের শুধু বাড়ির জায়গাটুকু আছে। আমার ভাই আমার ওয়ারিশের সম্পদ টুকুও বিক্রি করে দিয়েছে। এখন বলে আমি জমিজমার উপর নি দাবী দিতাম। আমি রাজি না হওয়ায় আমার হাবাগোবা ছেলেটার উপর ধর্ষণ মামলা করে দিয়েছে।আমার ছেলেকে বিয়ে করানোর কয়েক দিন পরেই তার বৌ চলে গেছে। আমি গরীব অসহায় মানুষ, আমি এই মিথ্যা মামলার বিচার চাই।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় শাহজাহান (৬৫) আসমা গ্রামের দিদার আলীর ছেলে। তার মেয়ে মালা আক্তার স্বামীর সংসার রেখে ৬ বছর জর্ডানে ছিল। সেখান থেকে এসে আর স্বামীর সংসার করেনি। শাহজাহান এলাকার বিভিন্ন মানুষকে এই মেয়ে দিয়ে মামলার ভয় দেখায়।
শাহজাহান এর মেয়ে মালা আক্তার বলেন, আমাকে এরা যে ভাবে গালিগালাজ করেছে এতে আমার মানসম্মান এমনিতেই চলে গেছে। এখন আমি মামলা করেছি যা হবার আদালতে হবে।
এলাকার ব্যবসায়ী কাঞ্চন মিয়া বলেন, আমি নিজে গিয়ে এই মেয়েকে বুঝিয়েছি, কিন্তু সে বলছে ৫ লক্ষ টাকা ও ৫ শতাংশ জমি লিখে দিলে আপোষ হবে।
সার্জেন্ট আবদুল মান্নান অবঃ বলেন আমিও কয়েকদিন যাবৎ এদেরকে বুঝিয়েছি। মালা আক্তার মোটামুটি রাজি হলেও তার বাবা শাহজাহান টাকা আর জমি ছাড়া আপোষে রাজি হচ্ছে না।
গুনুরিয়া গ্রামের আঃ বছির বলেন শাহজাহান আমার ফুফাতো ভাই, তাদের মধ্যে জমি সংক্রান্ত একটু ঝামেলা ছিল। সে মামলায় জয়ী হওয়ার জন্য তার মেয়েকে দিয়ে এই ঘৃণিত কাজ টি করেছে।