1. admin@dakbela.com : admin :
পুঠিয়া-দুর্গাপুরে উন্নয়নের আরেক নাম -আব্দুল ওয়াদুদ দারা - ডাক বেলা
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৩ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
পবিত্র কাবাঘরে ‌জয় বাংলা স্লোগান দেওয়া যুবক পদুয়ার হারুন কসবায় চিলড্রেন ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের মেধাবৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত নবীনগরে মোবাইল চুরির অপবাদ সহ্য করতে না পেরে যুবকের আত্মহত্যা শ্রীপুরে বোতাম তৈরি  কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড! আগুন নিয়ন্ত্রণে ৭টি ইউনিট  রাজশাহীতে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল স্বামী-স্ত্রী ও শ্যালিকার আরএমপি’র রাজপাড়া থানার নতুন ভবনের উদ্বোধন মিঠাপুকুরে ওয়াল্ডভিষণ CVA কর্ম-পরিকল্পনা সভা অনুষ্ঠিত। কালিয়াকৈর মডেল প্রেস ক্লাবের বাৎসরিক শিক্ষা সফর কক্সবাজার গোপালপুর দ্বী-মূখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ কসবায় বৃহত্তর কুমিল্লা জেলা কিন্ডারগাটের্ন এসোঃ বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

পুঠিয়া-দুর্গাপুরে উন্নয়নের আরেক নাম -আব্দুল ওয়াদুদ দারা

SM shakil
  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ৩৬০ বার পঠিত

রহিদুল ইসলাম, রাজশাহীঃ

শিক্ষা, সংস্কৃতি, ছাত্র রাজনীতি , রাজনৈতিক নেতা ও পারিবারিক ও রাজনৈতিক ইতিহাসে জনগুরুত্বপূর্ণ তথ্যাদি ও ভুমিকায় রয়েছেন রাজশাহী-৫(পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনের সার্বিক উন্নয়নের রুপকার , রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি আলহাজ্ব আব্দুল ওয়াদুদ দারা। বিস্তারিত ইতিহাস ও রাজনৈতিক চেতনা এবং মুক্তি যোদ্ধার সন্তান হিসাবে অগ্রণী ভুমিকায় আব্দুল ওয়াদুদ দারার ইতিহাস ও রাজনৈতিক চেতনা তুলে ধরা হলোঃ
জন্মঃ আব্দুল ওয়াদুদ দারা ১৯৬২ সালের ২১ অক্টোবর
রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলার বিড়ালদহ গ্রামে এক মুসলিম সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন। তার পিতার নাম বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আব্দুল
আওয়াল। তিনি পুঠিয়া আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি।
তিনি ১৯৪৭-১৯৭১ সাল পর্যন্ত পুরো সময়টা স্বাধীকার আন্দোলনের সাথে অতঃপ্রোত জড়িত ছিলেন।
রাজশাহীবাসীর গর্ব এই মহান গুনী নেতা ১২ ই সেপ্টেম্বর ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দে ইহলোক ত্যাগ করেন।
পিতার রাজনৈতিক জীবদ্দশায় দারা পিতার সাথে থেকেই শিক্ষার পাশাপাশি রাজনীতি চর্চা করতেন।
ছাত্র রাজনীতিতে আপোসহীন দারাঃ
ছাত্র রাজনীতি দিয়েই দারার রাজনৈতিক জীবন শুরু।১৯৭৯ খ্রিষ্টাব্দ যে সময়ে নিজেকে আওয়ামীলীগ পরিচয় দেওয়ার মতো তেমন কাউকে চোখে পড়তো না। সেই সময়ে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের ক্রান্তিলগ্নে দারা ঐতিহ্যবাহী রাজশাহী নিউ ডিগ্রি গভঃ কলেজে ছাত্রলীগ এর প্যানেল দেন
এসময়ে সর্বমোট ১৮ টি প্যানেলের ৫ টিতে ভিপি সহ জয়লাভ করেন আব্দুল ওয়াদুদ দারা।

এরপরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থ বিজ্ঞানে
পড়া-লেখা শেষ করে ব্যবসায় মনোযোগ দেন দারা। তবুও থেমে থাকেনি তাঁর সমাজ সেবা ও রাজনৈতিক চর্চা। রক্ত রক্তের কথা বলে _ তাঁর রক্তে প্রবাহিত হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর মুলনীতি ও আদর্শ। তাঁর রক্তে মিশে আছে দেশপ্রেম ও দেশাত্ববোধ। তাঁর রক্তে মিশে আছে রাজনীতি।
ব্যবসা ও রাজনীতিঃ ব্যবসার পাশাপাশি রাজনৈতিক ক্যারিয়ার গঠনে ছুটে বেড়িয়েছেন রাজশাহী জেলার দুর্গাপুর-পুঠিয়ার এই প্রান্ত থেকে ঐ প্রান্তে। দুর্গাপুর পুঠিয়ার সর্বস্তরের জনগনের আস্থা, আশা, আকাঙ্খা, বিশ্বাস,ভালবাসা এবং জনগনের চাপের মুখে তিনি ২০০৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে বাধ্য হোন।

২৯ শে ডিসেম্বর ২০০৮ সালে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সভানেত্রী, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দারাকে রাজশাহী-৫ ( দুর্গাপুর-পুঠিয়া) সংসদীয় আসনে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন দেন।
এক সময়ে এই আসনটি আওয়ামী লীগের দখলে থাকলেও বিএনপি- জামায়াতের কাছে হাত ছাড়া হয়ে যায়। তাই জননেত্রী শেখ হাসিনা বিএনপি-জামায়াতের কাছ থেকে আসনটি পুনরুদ্ধার করতে মুক্তি যোদ্ধার সন্তান জনপ্রিয় নেতা আব্দুল ওয়াদুদ দারাকে মনোনয়ন দেন এবং আসনটিতে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয় লাভ করেন।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মানের জন্য নির্বাচনি এলাকা দুর্গাপুর-পুঠিয়ায় বিদ্যুৎ, রাস্তাঘাট,ব্রীজ,কালভাট,স্কুল, কলেজ,মাদ্রাসা,
মসজিদ,মন্দীর, গির্জা ও প্যাগোডা সহ আরও অসংখ্যা উন্নয়নমূলক কাজে নিজেকে আত্বনিয়োগ করেছিলেন তিনি।
ঠিক সেই কারণে,, পরবর্তিতে ৫ জানুয়ারী ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুনরায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা এই আসনে আবারও আব্দুল ওয়াদুদ দারাকে মনোনয়ন দিলে দ্বিতীয় মেয়াদে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে দুর্গাপুর-পুঠিয়ার উন্নয়নমূলক অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করার জন্য নিজেকে আত্বনিয়োগ করেন।
এভাবে পর্যায়ক্রমে নির্বাচনী এলাকার যুগান্তকারী উন্নয়নের মাধ্যমে জনগনের সমর্থন এবং যুগান্তকারী ভালোবাসা অর্জন করেন তিনি।

৩০ ডিসেম্বর ২০১৮ মনোনয়ন বঞ্চিতঃ পুঠিয়া-দুর্গাপুর ও জেলা আওয়ামী লীগের কিছু দলীয় বেঈমান ও খুনি মোস্তাকলীগের অনুসারীরা পুনরায় এমপি হলে তিনি মন্ত্রী হবেন নিশ্চিত। এটা জেনেই ওই বেঈমানরা দারার বিরুদ্ধে সম্পুর্ন ভিত্তিহীন ও মিথ্যা তথ্য তুলে ধরে দলের
হাইকমান্ডে বিভিন্ন মিথ্যে তথ্য দিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কান ভারী করার অপচেষ্টা চালিয়ে দারাকে মনোনয়ন বঞ্চিত করেন।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রাপ্তঃ
এক বছর পুর্ন না হতেই আব্দুল ওয়াদুদ দারার সমস্ত তথ্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে পৌছে যায়। প্রধানমন্ত্রী সবকিছু জেনে,শুনে ও সার্বিক বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে ২০১৯ সালের ৮ ডিসেম্বর রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে জেলা আওয়ামীলীগকে সুসংগঠিত করার জন্য সাধারণ সম্পাদক পদ দেন।
রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পর হতেই তিনি জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সুসংগঠিত করার কাছে নিজেকে আত্মনিয়োগ করে চলেছেন।

২০২৪ সালের জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনে তৃণমূল নেতাকর্মীদের আশা, প্রত্যাশা এবং বিশ্বাস আব্দুল ওয়াদুদ দারা মনোনয়ন প্রত্যাশী সকল প্রার্থীদ্বয়ের শীর্ষস্থানে জনপ্রিয়তা ও জনবান্ধন নেতা হিসাবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে রয়েছেন তিনি।

Facebook Comments Box
এই ক্যাটাগরির আরও খবর