রহিদুল ইসলাম, রাজশাহী :
মা ইলিশ রক্ষা ও জাটকা সংরক্ষনে পদ্মা নদীতে গত ১৩ অক্টোবর হইতে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত প্রায় ২২দিন মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এসময় ইলিশ মাছ আহরন, পরিবহন, মজুত, বাজারজাতকরন, ক্রয়-বিক্রয় ও বিক্রয় সম্পুর্নরুপে বন্ধ থাকবে।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) উপজেলা প্রশাসন ও সিনিয়র মৎস্য অধিদপ্তর আয়োজনে ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ সংরক্ষণ মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনায় নদীতে জেলেরা নিষেধাক্ষা অমান্য করে মাছ ধারার সময় ৩ কেজি ইলিশ,৮ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জালসহ তিন জেলেকে আটক করে উপজেলা সহকারি কশিমনার (ভুমি) আরিফ হোসেন।
উপজেলার মোক্তারপুর, গোপালপুর,পিরোজপুর ও রাওথা নদীতে মোবাইল কোর্ট অভিযান চালিয়ে ৮ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জালসহ তিন জেলেকে আটক করে। আটককৃত হলো উপজেলার পিরোজপুর গ্রামের ইসরাইল ছেলে আনারুল ইসলাম(৪২), পিরোজপুর গ্রামের নুরুল ইসলাম ছেলে হাবিবুর রহমান (২৫) ও পিরোজপুর গ্রামের আমিরুল ইসলাম এর ছেলে ইয়ারুল ইসলাম (২৯)।
নিষিদ্ধ মাছ ধারার অপরাধে মা ইলিশ সংরক্ষণ আইন ১৯৫০, ৪ ধারায় লংঘন ৫ ধারা দন্ড এবং তিনটি মামলায় তিনজন জেলেকে ৫ হাজার টাকা অর্থ জরিমানা প্রদান করেছেন ভ্রাম্যমান আদালতের নিবার্হী ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা সহকারি কশিমনার (ভুমি) কর্মকর্তা আরিফ হোসেন। জব্দকৃত মাছগুলো চারঘাট এতিমখানায় ও আটককৃত জাল জনসম্মেুখে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ধবংস করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ওয়ালী উল্লাহ মোল্লাহ, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসের ফিরোজ আহম্মেদ, চারঘাট নৌপুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ হাবিবুর রহমান,জহিরুল,শিমুলসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ।