রহিদুল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহীঃ
প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশে এক ইঞ্চি কৃষি জমি ফাঁকা রাখা যাবে না। জমির শ্রেণী বা ধরন অনুযায়ী দেশের উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন ধরবের ফসল উৎপাদন করতে হবে। এটা আপনারা অবগত আছেন। এরই ধারাবাহিকতায় রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জেলার উপজেলাগুলোতে বালাইনাশক ডিলার ও উপ-সহকারী কৃষি অফিসারদের মাধ্যমে মাঠ পয্যায়ে মৌসুম অনুযায়ী কৃষকদের ফসল উৎপাদনে উৎসাহিত করা হচ্ছে।
আজ (১৩ নভেম্বর)সকাল ১১টায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আওতায় দুর্গাপুরের বালাইনাশক ডিলারদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্ত্যকালে রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক (ডিডি) কৃষিবিদ মোজদার হোসেন এসব কথা বলেন।
দুর্গাপুর উপজেলা কৃষি অফিসার কুন্তলা ঘোষের সভাপতিত্বে ডিডি মোজদার হোসনে আরও বলেন, আমরা ব্যাক্তি উদ্যোগে আমণ মৌসুমের ধানের ভেতরে সরিষা বপণের উদ্যোগ নিয়েছি। কেনোনা আমণ ধান কাটার পরে বোরো মৌসুমের ধান লাগানোর আগ মহুর্তে দুইমাস জমি ফাঁকা পড়ে থাকে। তাই এই সময়ে ধান কাটার ২৫ দিন আগে বারি-১৪, বারি-১৭ ও বারি-১৮ এবং নিচু জমিতে বীনা-৪,বীনা-৯ ও বীনা-১১ সরিষা বপণের পরামর্শ প্রদান করে চলেছি। আর এই জাতের সরিষার ফলনও ভালো এবং সময় কাল ৮০-৮৫ দিন।
তিনি সরিষার প্রয়োগ বিধি ও পরিচর্চা বিষয়ে আরও বলেন, প্রতি বিঘা জমিতে সাড়ে ৭০০ গ্রাম সরিষা বপণ করেন। আর সরিষা বপণকৃত জমিতে ধান কাটার দুই বা তিনদিন পরে প্রতি বিঘা জমিতে প্রথমে ২০ কেজি ডিএপি, ১৫ কেজি এমওপি এবং ৩ কেজি ম্যাগনেসিয়াম সালফেট ও ৫ কেজি জিপসাম সার প্রয়োগ করবেন। এর পরে বোরণ জিংক বা দস্তা ও খৈলের ভিজিয়ে ওই পানিসহ সরিষায় স্প্রে করবেন। দ্বিতীয় দফায় ওই ফসলের শক্তি বা চাহিদার উপরে ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি ইউরিয়া প্রয়োগ করবেন। দ্বিতীয় দফা স্প্রে একই নিয়মে প্রয়োগ করবেন।
এছাড়াও সরিষার বীজ সংরক্ষণের বিষয়েও সার্বিক আলোচনা করা হয়েছে। যেনো বাজার হতে একই সরিষার বীজ অধীক দামে ক্রয় করতে না হয় কৃষকদের।
ডিডি মোজদার হোসেন বালাইনাশক ডিলারদের সর্তক করে আরও বলেন, কোন বালাইনাশক ডিলার কোনো কীটনাশক কোম্পানির অফারে দেশের বাহিরে কৃষির অধিদপ্তরের অনুমতি ছাড়া যেতে পারবেন না । যদি প্রমাণ পাই আমাদের কৃষি অধিদপ্তরের অনুমতি ছাড়া কোন মিটিং বা দেশের বাহিরে গেছেন, তাহলে ওই ডিলারদের লাইসেন্স বাতিল করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন।
দুর্গাপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে ৪০০ জন বালাইনাশক ডিলারদের মধ্যে ১৫০ জন বালাইনাশক ডিলার উপস্থিত ছিলেন।
মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দুর্গাপুর কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার ফরিদ হোসাইন, উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার আমির আলী সরকার ও চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম প্রমুখ