মোফাহিম সরকার, বিরামপুর(দিনাজপুর)প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলার জোতবানী ইউনিয়নের ১২ বছরের এক মাদ্রাসা ছাত্রী মেয়ে থেকে ছেলেতে রূপান্তরিত হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে বিরামপুর উপজেলার জোতবানী ইউনিয়নের কসবা সাগপুর গ্রামে। সে স্থানীয় চতুরপুর ডিএস দাখিল মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
ওই এলাকার করম আলির এক ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে সে দ্বিতীয়।
সরেজমিনে জানা যায়, কৃষক করম আলির দুই স্ত্রীর মধ্যে মৃত লাইলির দ্বীতিয় সন্তান নাইমা আক্তার লিমা।করম আলির ১ম স্ত্রী মারা গেলে তিনি মোছাঃ পিয়ারাকে বিয়ে করেন এবং তার একটি কন্যা সন্তান হয়। তিন সন্তানের মধ্যে ছেলে সন্তান আশরাফুল ইসলাম বড়, মোছাঃ নাইমা আক্তার লিমা দ্বীতিয় এবং মোছাঃ মোবাশ্বেরা তৃতীয় সন্তান। নাইমা আক্তার লিমা গত মঙ্গলবার রাতে ঘুম থেকে উঠে দেখে শারীরিক পরিবর্তন হয়েছে।হঠাৎ তার লিঙ্গ মেয়ে থেকে ছেলেতে পরিবর্তিত হয়। সে তার দাদী ও মা মোছাঃ পিয়ারা বেগমকে জানায়।তার বাবা করম আলী বলেন, মেয়ের কথা শুনে তার স্ত্রী ও তার মাকে দেখতে বলেন। তারা দেখে বলেন যে তার শারীরিক পরিবর্তন ঘটেছে। এমন কেন হয়েছে মেডিকেল রিপোর্ট ছাড়া এটি বলা সম্ভব নয়। যেহেতু আল্লাহ এরকম করেছেন এখানে তাদের কোনো হাত নেই । তার ইচ্ছে সন্তানকে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করে ভালো কিছু করার।লিঙ্গ পরিবর্তনের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ায় বুধবার সকালে বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। তাকে এক নজর দেখার জন্য বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ ভিড় জমায়।
তার ফুফু ও স্থানীয়রা জানান, হঠাৎ শুনলাম সে মেয়ে থেকে ছেলে হয়েছে। তাই আমরা দেখতে এসেছি। এখন অনেকেই তাকে দেখতে আসছেন। আমরা সবাই আল্লাহকে বিশ্বাস করি। আমিও এটা বিশ্বাস করেছিলাম। এখন বাসায় সবসময় মানুষের ভিড় লেগে রয়েছে।
এ বিষয়ে বিরামপুর উপজেলা জোতবানী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আঃরাজ্জাক মন্ডলের সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন বিষয়টি আমি অনেকের কাছ থেকে শুনেছি ঘটনা সত্য।