1. admin@dakbela.com : admin :
তালতলীতে নিয়ম মানছেনা ডিলার বিহীন ক্ষুদ্র সার বিক্রেতারা, ভোগান্তিতে কৃষকরা - ডাক বেলা
বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৫৭ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
কুষ্টিয়ায় জেলায় পেঁয়াজের চারা রোপণে ব্যস্ত কৃষকেরা সাতকানিয়ায় অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন সাতকানিয়ায় বালু ব্যবসায়ীদের হামলা, আহত ৬ নবাগত পুলিশ সুপার মহোদয়ের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় যোগদান উপলক্ষ্যে বিশেষ কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত। রাজশাহীতে চরে জরিপে অবরুদ্ধ ১০ সার্ভেয়ার রাকাবের প্রধান শাখায় দু’পক্ষের হাতাহাতি,আহত ১ ব্যক্তিগত এবং পেশাগত জীবনে শৃঙ্খলা বজায় রাখার আহবানঃ আরএমপি কমিশনার সিংড়ায় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীতা ঘোষণা করলেন জার্জিস কাদির বাবু আমতলীর সিপিপির শ্রেষ্ঠ স্বেচ্ছাসেবক টিম লিডার রিপন মুন্সি। যশোরে মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্মদিন উপলক্ষে মধুমেলার মাঠের নিলাম

তালতলীতে নিয়ম মানছেনা ডিলার বিহীন ক্ষুদ্র সার বিক্রেতারা, ভোগান্তিতে কৃষকরা

Sm Shakil
  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ৯ অক্টোবর, ২০২৩
  • ২১৪ বার পঠিত

 

মিথুন কর্মকার ,(বরগুনা জেলা) প্রতিনিধি

বরগুনার তালতলীতে নিয়ম মানছেনা ক্ষুদ্র সার বিক্রেতারা। ডিলার বিহীন দোকানে শত শত বস্তা সার মওজুত করে বিক্রি করছে নিজেদের পছন্দ মত কৃষকদের মাঝে চড়া দামে। সার বিক্রিতে সরকারি নিয়ম থাকলেও তোয়াক্কা করছেন না দোকান্দারা। বেশ কয়েক জন ক্ষুদ্র সার বিক্রেতারা বেপরোয়া হয়ে উঠছেন। সরকারি কোনো নিয়ম নীতি মানছে না। এমন পরিস্থিতিতে গোটা উপজেলায় ইউরিয়াসহ অন্যান্য কৃত্রিম সারের সংকটের আশংকা দেখা দিয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন কৃষকরা।

জানা যায়, উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে সাতজন বিসিআইসি অনুমোদিত সার ডিলার। এছাড়াও প্রতি ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে একজন করে মোট ৯ জন সার ডিলার রয়েছে। তবে সরকার অনুমোদিত এই খুচরা ডিলারের পরও রয়েছে কিছু অসাধু সার ব্যবসায়ী। সরকারি নির্দেশনা মানছে না। বিভিন্ন কীটনাশকের দোকানে বিভিন্ন জায়গা থেকে অবৈধ সার মজুদ রেখে বেশি দামে বিক্রি করছেন। এতে প্রকৃত কৃষকরা ন্যায্যমূল্যে ডিলার এর কাছ থেকে সরাসরি সার কিনতে পারছে না। যার সরাসরি নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে কৃষিতে।

বিসিআইসি সার ডিলারদের সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী জানা যায়, নিজস্ব দোকান অথবা গুদাম ব্যতীত নিজ বাড়িতেও সার মজুদ রাখার কোন সুযোগ নেই। উপরোক্ত নিয়মের ব্যত্যয় ঘটলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া উচিৎ । সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশী দামে সার বিক্রয় করা যাবে না। যার নামে লাইসেন্স তাকেই ব্যবসা করতে হবে। মজুদ রেজিষ্টার ফর্মেট অনুযায়ী সংরক্ষণ করতে হবে। বিক্রয় রেজিষ্টারে অবশ্যই কৃষকের নাম এবং মোবাইল নাম্বার থাকতে হবে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, বাজারে ১৩৫০ টাকার ইউরিয়া সার চাষিরা কিনছেন ১৪শ থেকে ১৫শ টাকা বস্তা দরে। খুব গোপনে এভাবে সার বিক্রি করে আসছেন কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ীরা।

খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, সার ডিলারদের ক্যাশ মেমোর মাধ্যমে চাষিদের কাছে সার বিক্রির নিয়ম থাকলেও বেশি দামে বিক্রির কারণে তা করছেন না অসাধু ব্যবসায়ীরা ও ডিলাররা। কিছু ডিলার সিন্ডিকেট করে এমন নানা কারসাজি করে আসছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, বিভিন্ন দোকানে বিসিআইসি সার বিপুল পরিমাণে অবৈধ মজুদ করে রেখেছেন। ডিলার লাইসেন্স না থাকলেও অবৈধ পথে বিভিন্ন সার মজুদ করে রেখেছেন বেশি দামে বিক্রি করার জন্যে।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকদের অভিযোগ, সার ডিলারদের কাছে সরকারি দরে ক্যাশ মেমোসহ সার কিনতে গেলে সার নেই বলে ছাফ জানিয়ে দেয়। আর বেশি দামে নিলেই পাওয়া যায় পর্যাপ্ত সার। তাই ডিলাররা সারের ১–৫ বস্তার মেমো না করে বিভিন্ন দোকানদারের নামে শত শত বস্তার মেমো করছেন। আর আমাদের মত সাধারণ চাষিদের কাছে মেমো ছাড়া বেশি দামে বিক্রি করছেন। তাই প্রতিটি ইউনিয়ন বিসিআইসি ডিলারের উচিৎ ডিলার ব্যতিত অন্য কাউকে সার হস্তান্তর না করা।

এ বিষয়ে তালতলী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুমন হাওলাদার বলেন, খুরচা দোকানে ডিলার ছাড়া সার বিক্রি করা যাবে না। যারা বিক্রি করে আমাদের কাছে তথ্য দিন আমরা প্রয়োজনে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

  • তালতলী উপজেলা কর্মকর্তা সিফাত আনোয়ার তুমপা বলেন, বিসিআইসি অনুমোদিত সার ডিলার ছাড়া অন্য কেউ সার বিক্রি করতে পারবে না। যদি কেউ সার বিক্রি করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Facebook Comments Box
এই ক্যাটাগরির আরও খবর