বরুন সিংহ
হেড অফ ক্রাইম
গাইবান্ধা-সুন্দরগঞ্জ উপজেলার মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত পলাতক আসামী হাফিজুর রহমান(৩৯) জোরা খুনের মামলায় দীর্ঘদিন গাঁ’ঢাকা দিয়ে থাকার পরেও শেষ রক্ষা পেলনা, গ্রেফতার হয় রেপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়নের হাতে। সুন্দরগঞ্জ উপজেলার পূর্বঝিনিয়া গ্রামের মৃতঃ আবুল হোসেনের ছেলে।
শুক্রবার ( ২রা ফেব্রুয়ারী ২০২৪ইং) র্যাব-১৩ গাইবান্ধা, ফ্লাইড লেফটেন্যান্ট (মিডিয়া) মাহমুদ বসির আহমেদ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
সুত্রে, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার পূর্ব ঝিনিয়া গ্রামের হযরত আলীর সঙ্গে একই গ্রামের আব্দুল জলিলের দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। বিরোধপূর্ণ জমিতে ফসল বুনেছিল হযরত আলী। ২০১৬ সালে ১২ নভেম্বর আদালতে মামলার রায়ে জমির ফসল কাটতে যায় আবদুল জলিল ও তার লোকজন। ফসল কাটার বিষয়টি হযরত আলী গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানারপর, পার্শ্ববর্তী রাইচমিল থেকে বৈদ্যুতিক তাঁর টেনে পুরো জমি ঘিরেফেলে রাখেন। ঘটনারদিন সকালে আব্দুল জলিলের এক আত্মীয় তছলিম উদ্দিন কিছু সংখ্যাক শ্রমিক- পুরুষ এবং মহিলা নিয়ে ফসল কাটার জন্য উক্ত জমিতে নামেন। তছলিম উদ্দিন জিমতে যাওয়া মাত্রই বৈদ্যুতিক তাঁরে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয় , এমতাবস্থায় তাকে উদ্ধার করতে গেলে অপর ব্যক্তি মর্জিনা খাতুনও বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলে দু’জনেই মৃত্যুর মুখে ঢলে পরেন। এ ঘটনায় ঐ রাতেই তছলিম উদ্দিনের চাচা মফিজল হক সুন্দরগঞ্জ থানায় ৭ জন’কে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। নৃশংস হত্যাকান্ডে সন্দেহাতীতভাবে অপরাধীরা দোষী প্রমানিত হওয়ায়, বিজ্ঞ আদালত ৩জনের মৃত্যুদন্ডের আদেশ প্রদান করেন। রায় ঘোষণার পরথেকে দন্ডপ্রাপ্ত আসামী হাফিজার রহমান গাঁ’ঢাকা দিয়েছিলেন।