মোঃ আশরাফ ইকবাল পিকলু
কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধ ।
২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে এডিপি কর্মসূচির আওতায়
কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলা পরিষদ হতে বিভিন্ন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নির্মাণ কাজের বরাদ্দ দেয়া হয়।
এরই ফলশ্রুতিতে মিরপুর উপজেলার বারুইপাড়া ইউনিয়নের কেউপুর গ্রামের কবরস্থানে মানুষ চলাচলের জন্য এক লক্ষ টাকা ব্যয়ে ১২২ ফিট রাস্তা নির্মাণের কাজ দেওয়া হয় মিরপুর উপজেলার পুরাতন আজমপুরের আখতারুল ইসলামকে।
কাজ শুরু হওয়ার পর এলাকাবাসী কাজের অনিয়ম দূর্নীতি দেখে কাজে বাধা দেয়,এলাকাবাসী অভিযোগ করে এক নাম্বর ইট ও এক নাম্বার ইটের খোয়া দিয়ে রাস্তাটি নির্মাণের কথা থাকলেও এখন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি তা না করে দুই নাম্বার ইট ও একেবারে নিম্নমানের খোয়া ব্যবহার করে রাস্তাটির কাজ সম্পন্ন করার চেষ্টা করছেন।
সরে জমিনে গিয়ে দেখা যায় রাস্তাটি ব্যবহারের জন্য একেবারে নিম্নমানের ইট ও নিম্ন মানের খোয়া দারা রাস্তাটি নির্মাণ করা হচ্ছে।
নির্মাণ কাজের অনিয়মের ব্যাপারে কেউপুর কবরস্থান কমিটির সভাপতি বারুইপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃশফিকুল ইসলাম মন্টুর কাছে জানতে চাইলে তিনি অনিয়মের কথা স্বীকার করে বলেন আমি লোক মারফত জানতে পারি যে কবরস্থানের রাস্তা নির্মাণ কাজে অনিয়ম করা হচ্ছে একেবারে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়া রাস্তাটি নির্মাণ করা হচ্ছে। আমি সাথে সাথে ঘটনাস্থলে যাই এবং রাস্তা তৈরির নিম্নমানের সামগ্রী দেখতে পেয়ে দ্রুত কাজ বন্ধ করে দেই।
পরে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান থেকে আমাকে আশ্বস্ত করা হয় যে নিম্ন সামগ্রীর পরিবর্তে উন্নত সামগ্রী দ্বারা রাস্তাটি নির্মাণ করা হবে।
তবে এলাকাবাসির দাবি আমাদের কেউপুর কবরস্থানের সভাপতি কাজ বন্ধ করে দেওয়ার পরে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি উক্ত স্থান থেকে কিছু নিম্নমানের আদলা সরিয়ে নিয়ে আগের মতই নিম্ন মানের ইট ও খোয়া দ্বারা রাস্তাটির কাজ চলমান রয়েছে।