মোঃ আশরাফ ইকবাল পিকলু মাজমাদার
কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি।
কুষ্টিয়ায় পদ্মা নদীর ভাঙ্গন রোধে বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টার সময় মিরপুর উপজেলার বহলবাড়িয়া ইউনিয়নের সাহেবনগর এলাকার পদ্মা নদীর পাড়ে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে নদী ভাঙ্গনে সর্বস্ব হারানো হাজার হাজার মানুষ অংশ নেন, উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মেহেদী হাসান অপু - আহবায়ক নদী রক্ষা ও ভাঙ্গন রোধ প্রকল্প কমিটি কুষ্টিয়া।
আরও উপস্থিত ছিলেন মহিদুল ইসলাম সদস্য সচিব, আরিফুল ইসলাম রিঙ্কু যুগ্ন আহবায়ক, উজ্জল হোসেন মেম্বার যুগ্ন আহবায়ক, গিয়াস মুন্সি যুগ্ন আহবায়ক, ইঞ্জিনিয়ার গোলাম হায়দার যুগ্ম আহবায়ক, উজ্জল মন্ডল নির্বাহী সদস্য, মোহাম্মদ আল আমিন কোষাধক্ষ্য, মুফতি ইয়াকুব যুগ্ন আহবায়ক, আনোয়ার মন্ডল যুগ্ন আহবায়ক, সিদ্দিক মালিথা নির্বাহী সদস্য।
এলাকাবাসী জানান, পদ্মা নদীতে পানি কমার সাথে সাথে নদী ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারণ করেছে। পদ্মা নদী জনবসতি এলাকা থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে ছিল। প্রতি বছর নদী ভাঙ্গনের ফলে বর্তমানে বসতির কিনারে এসে দাঁড়িয়েছে। হুমকির মুখে পড়েছে বিভিন্ন সরকারি স্থাপনাসহ বসতবাড়ি ও ঘর।
পদ্মার ভাঙ্গনে গত এক সপ্তাহে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে কৃষকের শত শত বিঘা ফসলি জমি। এভাবে ভাঙ্গন অব্যাহত থাকলে আরো ফসলি জমিসহ বাড়ি ঘর নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।আমার গ্রাম আমার মা বিলিন হতে দিবো না দিব না।
তালবাড়িয়া ভাঙছে কেন জবাব চাই জবাব চাই। দুনিয়ার মশগুল এক হও লড়াই করো, জেগে ছেড়ে জেগেছে তাল বাড়ি আসি জেগেছে এ ধরনের বিভিন্ন স্লোগানে মুখরিত হয়। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, পদ্মা নদীর ভাঙ্গন রোধে জিও ব্যাগ ফেলার ব্যবস্থা করেছিলেন, কিন্তু সেটা তেমন কাজে আসেনি।
অপরিকল্পিত ভাবে জিও ব্যাগ ফেলার কারণে সেগুলোও নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। তাই ভাঙ্গন অব্যাহত থাকায় এই এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও ঘর বাড়িসহ সরকারি স্থাপনা রক্ষার জন্য স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ জরুরী হয়ে পড়েছে তাদের দাবি, পদ্মা নদীর ভাঙ্গন ঠেকাতে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা হোক।