মোঃ আশরাফ ইকবাল পিকলু মাজমাদার
কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি ।
কুষ্টিয়ার ইউপির এক সদস্যের দুই মাসের সম্মানী ভাতা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বটতৈল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিন্টু ফকিরের বিরুদ্ধে । এছাড়াও ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বরাদ্দকৃত মালামাল পাওয়া থেকেও বঞ্চিত করা হয়েছে।
এই নিয়ে বুধবার (১৭ এপ্রিল) কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী বটতৈল ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত ৭ ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের (ইউপি)সদস্য রুশিয়া খাতুন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার বটতৈল ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত ৭ ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের (ইউপি)সদস্য রুশিয়া খাতুনকে রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য ইউনিয়ন পরিষদের একাধিক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিন্টু ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বরাদ্দকৃত কম্বল, ফুটবল, টিউবওয়েল, কৃষিপন্য ধানের বীজ ও সার, ভিজিপি কার্ডের ১০কেজি চাউল, অন্যান্য ইউপি সদস্যদের দিলেও আমাকে দেওয়া হয় নাই। পরিষদে গেলে চেয়ারম্যান তার লোকজনকে দিয়ে জোরপূর্বক বের করে দেয় আমাকে। একই সঙ্গে আমার তিন মাসের সম্মানী ভাতা আত্মসাত করেছেন চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিন্টু। বিষয়টি বার বার চেয়ারম্যানকে জানিয়েও কোন লাভ হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছি। বিষয়টি তদন্ত করে সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
ভুক্তভোগী (ইউপি) সদস্য রুশিয়া খাতুন বলেন, অন্যান্য ইউপি সদস্যরা ভাতার টাকা পেলেও আমার তিন মাসের সম্মানী ভাতার টাকা আত্মসাত করেছে চেয়ারম্যান। ইউনিয়ন পরিষদের একাধিক সুযোগ সুবিধা থেকে আমাকে বঞ্চিত করা হয়েছে।এছাড়াও পরিষদে গেলে চেয়ারম্যানের লোকজনকে দিয়ে আমাকে বের করে দেয়া হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
এ ব্যাপারে বটতৈল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান
মিজানুর রহমান মিন্টু বলেন,এমনটি হওয়ার প্রশ্নই আসে না। এটি আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পার্থ প্রতীম শীল বলেন, বিষয়টি তদন্তধীন। খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।