1. admin@dakbela.com : admin :
কুষ্টিয়াতে জেলা হেফাজত ইসলামের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ। - ডাক বেলা
রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:৪৬ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
রায়পুরা পৌর বিএনপির সভাপতি পেলেন মাওলানা ভাসানী লিডারশীপ এ্যাওয়ার্ড সীমান্ত পাহারায় শাহ জালালের সৈনিকেরা! বোয়ালখালীতে জমি ক্রয় করে প্রতারণার শিকার হয়েছেন এক অসহায় নারী কালিয়াকৈরে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লিফলেট বিতরণ বেগম খালেদা জিয়াকে শেখ হাসিনা ও তার দোসরা ভয় পায় – আবুল হোসেন আজাদ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ জামায়াতে ইসলামের কুষ্টিয়াতে জেলা হেফাজত ইসলামের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ। খাজা নগরে হত্যার উদ্দেশ্যে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ হামলা। শেরপুর থানা পুলিশের অভিযানে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ২ আসামি গ্রেফতার গাজীপুর জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

কুষ্টিয়াতে জেলা হেফাজত ইসলামের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ।

ডাক বেলা ডেস্ক :
  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি, ২০২৫
  • ৫ বার পঠিত

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি:

কুষ্টিয়া জেলা হেফাজত ইসলামের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) বিকেলে কুষ্টিয়া বড় বাজার হতে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে পাঁচ রাস্তার মড়ে গিয়ে শেষ হয়। বিক্ষোভ মিছিল শেষে পাঁচ রাস্তার মোড়ে হেফাজত ইসলাম ও তাবলীগ জামাতের সর্বস্তরের নেতাকর্মী উপস্থিতিতে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বক্তারা বক্তব্য রাখেন টঙ্গী ইজতেমা ময়দানে গভীর রাতে উগ্র সন্ত্রাসী সাদ পন্থীদের অতর্কিত হামলায় ৪ জন শহীদ, অসংখ্য আহত, নিখোঁজদের প্রতিবাদ এবং হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার, শান্তি ও সাদ পন্থীদের নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। জেলা হেফাজত ইসলামের সভাপতি মুফতি আব্দুল হামিদের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুল খালেকের সার্বিক পরিচালনায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ পরিচালিত হয়। এতে অনান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা হেফাজতের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল লতিফ খান, মাওলানা রফিকুল ইসলাম নদভী উলামা পরিষদ কুষ্টিয়া। কুষ্টিয়া মারকাজ মসজিদ তাবলীগের সাথীগন মাওলানা রফিকুল ইসলাম সাহেব, মাওলানা ওমর ফারুক সাহেব, মুফতি ইলিয়াস সাহেব, হাজী আজিমুদ্দিন সাহেব, মীর হাবিবুল্লাহ, ইঞ্জিনিয়ার শামসুল হক সাহেব, নুরুল ইসলাম রাজু, শাহিন আহমেদ, ফয়জুল কবির বিপ্লব, মাওলানা আব্দুল মান্নান, মুফতি আবু সাঈদ, মাওলানা শামসুল হক, প্রফেসর শামীম, আব্দুল হাফিজ, মাসুদ আহমেদ, মাওলানা আব্দুল খালেক সাহেবের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানটি পরিচালিত হয়। গত মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) গভীর রাতে ঢাকার টঙ্গী ইজতেমার ময়দানে বিতর্কিত মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা উলামায়ে কেরাম সমর্থিত তাবলিগের ঘুমন্ত সাথীদের উপর অতর্কিত সন্ত্রাসী হামলা, নির্মম হত্যাকাণ্ড ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দ্বারা মারপিট, খুন ও জখমের ভয়াবহ চিত্র দেশবাসীর সামনে পরিষ্কার হয়েছে। ইতিপূর্বেও ২০১৮ সালের ১লা ডিসেম্বরেও তারা এরকম হত্যাকান্ড ঘটিয়েছিল। এর থেকে প্রতীয়মান হয় যে, তারা সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। এই সাদ পন্থিরা আমাদের ধারনা মতে ভারতের “র” এর এজেন্ট কর্তৃক পরিচালিত হচ্ছে। তারা দেশকে অস্তিশীল করার জন্য একের পর এক ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে বা যাবে। দেশকে ষড়যন্ত্র মুক্ত করতে হলে তাদেরকে নিষিদ্ধ করতে হবে এবং তাদের সকল কার্যক্রম বন্ধ করার ব্যবস্থ্য করতে হবে। সাথে সাথে মাওঃ সাদ কান্ধলভী এর দৃষ্টি ভঙ্গি ও চিন্তাধারাগুলো বিগত প্রায় বিশ বছর ধরে তার বিভিন্ন বয়ানে উঠে আসছিল। তার আসাতিযায়ে কেরাম, উলামায়ে দ্বীন ও তাবলিগের পুরানো সাথীরা তাদের ঘরোয়া বৈঠকগুলোতে লিখিত ও মৌখিক উভয়ভাবেই সেই বিষয় গুলোর বারবার একথা বলে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন যে, আপনার একথা গুলো মহান পূর্বসূরীদের চিন্তাধারা থেকে বিচ্যুত এবং দাওয়াতের এই মেহনতের মতাদর্শের পরিপন্থি। এগুলো পরিহার করা উচিত। কিন্তু তিনি নিজের জিদের উপর পড়ে থাকেন এবং লক্ষ লক্ষ ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের সমাবেশে তার বয়ানে কুরআন, হাদিসের মনগড়া ব্যাখ্যা, শরীয়ত পরিপন্থি ভ্রান্ত কথাবার্তা, তাবলিগের পূর্ব বুযুর্গগণের কাজের ধারাকে পরিবর্তন করে নিজেকে আমির হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষে উগ্রবাদী দল গঠন করেন। তার কয়েকটি বিষয় ছাড়া বাকিগুলো বিভিন্ন ভ্রান্ত দলের মতবাদের সাথে মিল রয়েছে। এসব কারনেই বিশ্বের সকল হকপস্থি উলামায়ে কেরাম তাদের প্রত্যাখ্যান করেছেন।
সাদ সাহেবের বিতর্কিত কিছু মন্তব্য:
১. হেদায়েতের সম্পর্ক যদি আল্লাহ তায়ালার হাতে হতো, তাহলে তিনি নবী পাঠাতেন না। এ কথাটি বড় মারাত্মক কথা। অথচ আল্লাহ তায়ালা বলেন, অর্থাৎ আপনি যাকে ভালবাসেন ইচ্ছা করলেই তাকে হেদায়েত দিতে পারবেন না। তবে আল্লাহ যাকে ইচ্ছা সৎ পথে আনেন। সৎ পথ অনুসারীদের ব্যাপারে তিনি ভালো জানেন। (সুরা কাসাস-৫৬)
২. হযরত ইউসুফ (আঃ) উযকুরনী ইনদা রব্বিকা বলে গাইরুল্লাহ দিকে নজর দেওয়ার কারণে অতিরিক্ত সাত বছর জেলে থাকতে হয়েছে।
৩. হযরত মুসা (আ.) জাতি ও জামাত ছেড়ে আল্লাহ তায়ালার সঙ্গে একান্ত কথা বলার জন্য নির্জন স্থানে যান। ফলে বনি ইসরাইলের ৫ লক্ষ ৮৮ হাজার লোক গোমরা হয়ে যায়। তাদের জিম্মাদার ছিলেন হযরত মুসা প্রধান হিসেবে তাকে তাদের মাঝে অবস্থান করা দরকার ছিল। (নাউযুবিল্লাহ ৪. হযরত জাকারিয়া (আঃ) আল্লাহকে বাদ দিয়ে গাছের কাছে আশ্রয় চাওয়ার কারণে তাকে শাস্তি ভোগ করতে হয়েছে। (নাউযুবিল্লাহ)
৫. হযরত মুসা (আ.) এর থেকে একটা বড় ভুল হয়ে গেছে। তিনি অপরাধ করে বসেছেন। এজন্য তিনি কওম কে ছেড়ে আল্লাহর সান্নিধ্য লাভের জন্য নির্জনতা গ্রহণ করেছে। (নাউযুবিল্লাহ)
৬. হযরত মুসা (আ.) কর্তৃক হযরত হারুন (আ.) কে নিজের স্থলাভিষিক্ত বানানো উচিত হয়নি (নাউযুবিল্লাহ)
৭. কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা বান্দাকে জিজ্ঞাসা করবেন তালিমে বসে ছিলে কিনা? গাস্ত করেছিলে কিনা? (নাউযুবিল্লাহ)
৮. বেতন নিয়ে দ্বীন শিখানো অর্থ দ্বীন বিক্রি করা। কুরআন শরীফ শিখিয়ে যারা বেতন গ্রহণ করে, তাদের বেতন বেশ্যার উপার্জনের চেয়েও খারাপ। যে ইমাম ও শিক্ষক বেতন গ্রহণ করে, তাদের আগে বেশ্যারা জান্নাতে যাবে (নাউযুবিল্লাহ) অনুরূপ অসংখ্য বক্তব্য রয়েছে স’দ সাহেবের। এ সবের কারণে দারুল উলুম দেওবন্দ সহ সারা বিশ্বের সকল উলামায়ে কেরামগণ প্রতিবাদ করে আসছেন। তাই মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের কথা বিবেচনা করে অরাজনৈতিক দ্বীনি দাওয়াতের ঐতিহ্যবাহী এই ধারাকে শান্তিপূর্ণ ভাবে পরিচালনার স্বার্থে দ্বীনের ধারক-বাহক উলামায়ে কেরাম সমর্থিত তাবলিগী দ্বীনি কার্যক্রমকে সহায়তা প্রদান এবং বিভ্রান্তকারী মাওঃ সাদ বা এতায়াত গ্রুপের নানা অপতৎপরতা ও কার্যক্রম এবং কুষ্টিয়া জেলা সহ পুরা বাংলাদেশে তাদেরকে সন্নাসী গোষ্ঠি আখ্যা দিয়ে নিষিদ্ধ ঘোষনা করা এবং এই ন্যাক্কারজনক হত্যাকাণ্ডের সাথে সরাসরি জড়িতদের ও হামলায় ইন্ধনদাতা দেরকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং কুষ্টিয়া জেলার মারকায মসজিদ সহ সকল মসজিদে এই সন্ত্রাসী জামাতকে নিষিদ্ধ ঘোষনা করার জোর দাবী জানাচ্ছি।

Facebook Comments Box
এই ক্যাটাগরির আরও খবর