সরকার মাজহারুল ইসলাম ,(গাজীপুর জেলা) প্রতিনিধি
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে কালিয়াদহ এলাকায় তুরাগ নদীপাড়ে চিরকুট রেখে মঙ্গলবার কলেজ ছাত্রী নিখোজের ঘটসা ঘটেছে। এঘটনায় ডুবুরীরা নিখোজ ছাত্রীকে খোজছে নদীতে পড়ে। নিখোঁজ ছাত্রী সুমাইয়া আক্তার উপজেলার কালিয়াদহ এলাকার সোহরাব সিকদারের মেয়ে । সে এবার গুচ্ছতে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। এলাকাবাসী, ফায়ার সার্ভিস ও নিখোঁজের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার রাত সাড়ে ৯টার পর থেকে উপজেলার কালিয়াদহ এলাকার কলেজ ছাত্রী সুমাইয়াকে খুজে পাচ্ছিল না তার পরিবার। অনেক খোঁজাখুজির পর বাড়ির পাশে তুরাগ নদীপাড়ে তার জুতা ও একটি চিরকুট পাওয়া যায়। পরিবারের উদ্দেশ্যে ওই চিরকুটে লেখা ছিল, তোমরা যেমন সন্তান চাইছো, ঐ রকম সন্তান হইতে পারি নাই। আমি তোমাগো ইজ্জত রক্ষা করতে পারলাম না। পারলে মাফ কইরো। আমি ভিতর থেকে শেষ। আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী না। নদীর পানিতে হয়তো পাইবা আমারে। ভালো থাইকো, মাফ কইরা দিও। এই চিরকুটের একেবারে নিচে লেখা সুমাইয়া। সে ওই নদীতে ঝাঁপ দিয়েছে এমন সন্দেহ হলে ওইদিন রাতেই কালিয়াকৈর ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয় এলাকাবাসী। খবর পেয়ে টঙ্গী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের একদল ডুবুরী পরের দিন মঙ্গলবার সকাল থেকে ওই নদীতে সুমাইয়াকে খোঁজছে। তবে কি কারণে এমন ঘটনা ঘটলো? তা বলতে পারেনি তার পরিবার। এদিকে ওই ঘটনার খবর পেয়ে উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শরিফা আক্তার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এছাড়াও ওই গ্রামসহ আশপাশের এলাকার উৎসুক জনতা তুরাগ নদীর পাড়ে ভীড় জমায়। টঙ্গী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের লিডার ইদ্রীস আলী জানান, ওই ছাত্রী নিখোঁজ হলে ডুবুরী দল না থাকায় ওইদিন রাতে ঢাকা কন্ট্রোলে অবগত করে কালিয়াকৈর ফায়ার সার্ভিস। পরে কন্ট্রোল থেকে টঙ্গী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে জানালে মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। স্রোত বেশি থাকায় উদ্ধার কাজ কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। তবে আমাদের উদ্ধার কাজ অব্যাহত রয়েছে। উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শরিফা আক্তার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ডুবুরী দল তাদের প্রক্রিয়ায় তুরাগ নদীর বিভিন্ন স্থানে ওই ছাত্রীকে উদ্ধারের চেষ্টা করছেন। তবে কি কারণে এমন ঘটনা ঘটলো? এখনো তা বলতে পারছে না তার পরিবার। উল্লেখ্য এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (বিকেল ৩টা) নিখোঁজ ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করতে খোজে পায়নি ডুবুরী দল।# ০২-০৭-২০২৪