1. admin@dakbela.com : admin :
কালিয়াকৈরে আমনের বাম্পার ফলনে খুশি কৃষকরা - ডাক বেলা
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০৩ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
পবিত্র কাবাঘরে ‌জয় বাংলা স্লোগান দেওয়া যুবক পদুয়ার হারুন কসবায় চিলড্রেন ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের মেধাবৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত নবীনগরে মোবাইল চুরির অপবাদ সহ্য করতে না পেরে যুবকের আত্মহত্যা শ্রীপুরে বোতাম তৈরি  কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড! আগুন নিয়ন্ত্রণে ৭টি ইউনিট  রাজশাহীতে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল স্বামী-স্ত্রী ও শ্যালিকার আরএমপি’র রাজপাড়া থানার নতুন ভবনের উদ্বোধন মিঠাপুকুরে ওয়াল্ডভিষণ CVA কর্ম-পরিকল্পনা সভা অনুষ্ঠিত। কালিয়াকৈর মডেল প্রেস ক্লাবের বাৎসরিক শিক্ষা সফর কক্সবাজার গোপালপুর দ্বী-মূখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ কসবায় বৃহত্তর কুমিল্লা জেলা কিন্ডারগাটের্ন এসোঃ বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

কালিয়াকৈরে আমনের বাম্পার ফলনে খুশি কৃষকরা

ডাক বেলা ডেস্ক :
  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২৪
  • ১৩ বার পঠিত

 

সরকার মাজহারুল ইসলাম (গাজীপুর জেলা ) প্রতিনিধি
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে এ মৌসুমে আবহাওয়া অনুক‚লে থাকায়, সময় মতো বীজ ও সার পাওয়ায় আমন ধানের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। এমন সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষি অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। আর স্থানীয় কৃষি অধিদপ্তরের সহযোগীতা না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেও এবার আমনের বাম্পার ফলনে খুশি কৃষকরা। তবে কৃষকদের দুঃখ-কষ্ট আর ক্ষোভ আড়াল করেছে মাঠজুড়ে পাকা ধান আর মাঠে মাঠে চলছে ধান কাটার উৎসব।
এলাকাবাসী, কৃষক-শ্রমিক ও উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় চলতি মৌসুমে প্রায় ৪ হাজার ৬১০ হেক্টর জমিতে আমন ধান রোপন করে কৃষক। এর মধ্যে উপজেলা উত্তরাঞ্চলের চাপাইর ও ফলবাড়িয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে সবচেয়ে বেশি আমন ধান রোপন করা হয়েছে। এবার ১৭ হাজার ৪৬৫ মেট্রিক টন চাউল উৎপাদন আশা করছে স্থানীয় কৃষি অধিদপ্তর। আবহাওয়া অনুক‚লে থাকায়, সময় মতো বীজ ও সার পাওয়ায় আমন ধানের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিগত কয়েক বছরে এমন ফলন হয়নি। এবার মাঠের পর মাঠ জুড়ে সোনালি আমন ধান দোলছে, ফলছে আমনের বাম্পার ফলন। কৃষকদের অভিযোগ, স্থানীয় কৃষি অধিদপ্তর তাদের তেমন সহযোগিতা করেনি। ওই অফিসের সহযোগীতা না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেও এবার আমনের বাম্পার ফলনে খুশি কৃষকরা। তবে কৃষকদের দুঃখ-কষ্ট আর ক্ষোভ আড়াল করেছে মাঠজুড়ে পাকা ধান আর মাঠে মাঠে চলছে ধান কাটার উৎসব। আমন ধান কেটে বাড়ির আঙিনায় আনার কাজ চলছে পুরোদমে। এরই মধ্যে প্রায় ৩৪ থেকে ৪০ ভাগ জমির ধান কাটা হয়ে গেছে। এভাবে ধান কেটে মাড়াই শেষে রোদে শুকিয়ে গোলায় তুলবেন কৃষকরা। আর কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই কাটা ও মাড়াই শেষে ধান গোলায় উঠানোর পর কৃষকদের ঘরে ঘরে শুরু হবে বাঙ্গালীর ঐতিহ্য চিরচেনা নবান্নের উৎসব।
উপজেলার ডুলিগড়া এলাকার কৃষাণী স্বরসতী রানী বলেন, ইতিমধ্যে আমন ধান কাটা শুরু হয়ে গেছে। ধান কেটে রোদে শুকিয়ে ধান গোলায় তোলা হচ্ছে। কৃষক শ্রী রবিন্দ্র বলেন, এবার আমি চার বিঘা জমিতে আমন চাষ করেছি। আবহাওয়া ভাল থাকায়, সময় মতো বীজ ও সার পাওয়ায় আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। রাজু বলেন, আর কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই কাটা ও মাড়াই শেষে ধান গোলায় উঠানোর পর কৃষকদের ঘরে ঘরে শুরু হবে বাঙ্গালীর ঐতিহ্য চিরচেনা নবান্নের উৎসব। তবে কৃষি অধিদপ্তরের সহযোগীতা পেলে আরও ধানের ফলন ভাল হতো বলে জানিয়েছেন সাধারন কৃষকরা।
এব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, চলতি মৌসুমে এখানে ৪ হাজার ৬১০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করা হয়েছে। এ বছর ফলন ভালো হয়েছে। ফলে প্রায় ১৭ হাজার ৪৬৫ মেট্রিক টন চাউল উৎপাদন আশা করা হচ্ছে। তবে কৃষকদের অসযোগিতার অভিযোগটি অস্বীকার করে ওই কর্মকর্তা বলেন, কৃষকদের সব ধরণের সহযোগিতা করা হচ্ছে। কৃষক যদি যোগাযোগ না করে আমরা কিভাবে সহযোগিতা করবো? আমাদের সাথে যোগাযোগ করলে অবশ্যই তাদের সহযোগীতা করা হবে।

Facebook Comments Box
এই ক্যাটাগরির আরও খবর