1. admin@dakbela.com : admin :
কচুরিপানায় দিশেহারা চলনবিলের  কৃষক  - ডাক বেলা
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:০৫ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
পবিত্র কাবাঘরে ‌জয় বাংলা স্লোগান দেওয়া যুবক পদুয়ার হারুন কসবায় চিলড্রেন ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের মেধাবৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত নবীনগরে মোবাইল চুরির অপবাদ সহ্য করতে না পেরে যুবকের আত্মহত্যা শ্রীপুরে বোতাম তৈরি  কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড! আগুন নিয়ন্ত্রণে ৭টি ইউনিট  রাজশাহীতে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল স্বামী-স্ত্রী ও শ্যালিকার আরএমপি’র রাজপাড়া থানার নতুন ভবনের উদ্বোধন মিঠাপুকুরে ওয়াল্ডভিষণ CVA কর্ম-পরিকল্পনা সভা অনুষ্ঠিত। কালিয়াকৈর মডেল প্রেস ক্লাবের বাৎসরিক শিক্ষা সফর কক্সবাজার গোপালপুর দ্বী-মূখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ কসবায় বৃহত্তর কুমিল্লা জেলা কিন্ডারগাটের্ন এসোঃ বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

কচুরিপানায় দিশেহারা চলনবিলের  কৃষক 

ডাক বেলা ডেস্ক :
  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৮ বার পঠিত

কাবিল উদ্দিন কাফি, সিংড়া(নাটোর)প্রতিনিধিঃ 

কৃষি প্রধান চলনবিলের মাঠ জুড়ে এখন কচুরী পানার স্তুপ আর স্তুপ। বন্যার পানি নেমে গেলেও জমি থেকে নামেনি কচুরীপানা। ফলে বোরোধান চাষে দিশেহারা হয়ে পড়েছে কৃষক। জমি থেকে কচুরী পানা অপসারণে বাড়তি খরচ গুনতে হচ্ছে তাদের।

নাটোরের সিংড়া উপজেলার চলনবিল অধ্যুষিত সাতপুকুরিয়া, ডাহিয়া, আয়েশ, বেড়াবাড়ি সহ বিভিন্ন মাঠ ঘুরে  কৃষকদের জমি থেকে কচুরী পানা অপসারণের চিত্র দেখা গেছে। কৃষকরা বলছেন বোরো ধান আমাদের সব চেয়ে বড় অর্থকরী ফসল। এই আবাদের আগে কচুরী পানা অপসারণ আমাদের জন্য গলার কাটা হয়ে দাড়িয়েছে।  

 উপজেলার সাতপুকুরিয়া গ্রামের কৃষক তুহিন ও ডাহিয়া গ্রামের কৃষক আসাদুল  জানান,   প্রথমে কচুরী পানার উপরে ঘাস মারা বিষ স্প্রে করতে হয় । বিষ স্প্রে করার ৪ থেকে ৫ দিন পর কচুরীপানা মরে পঁচে যায়। এর ঠিক সপ্তাহ খানেক পর  রোদে শুকিয়ে গেলে এই মরা পঁচা কচুরীপানা আগুনে পড়াতে হয়। এর পর শ্রমিক দিয়ে পরিস্কার করতে হয়।  সব মিলে জমি থেকে কচুরীপানা পরিস্কার করতে  ১৫ থেকে ২০ দিন সময় লাগছে তাদের।   এতে প্রতি বিঘায় তাদের খরচ হচ্ছে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা। কৃষকরা জানায়,  বোরো ধান চাষ করে যে লাভের আশা ছিল এবছর জমি পরিষ্কার করতে যে পরিমাণ খরচ হচ্ছে  তাতে লোকসানের আশঙ্কা করছেন তারা।

এদিকে কচুরী পানা ধবংসে যত্রতত্র ভাবে  অতিমাত্রায় ক্ষতিকর  কীটনাশক ব্যবহারে হুমকিতে পড়েছে চলনবিলের জীববৈচিত্র্য। অনুমোদিত ছত্রাকনাশক ব্যবহারের দাবি পরিবেশ কর্মীদের। 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা খন্দকার ফরিদ জানান, চলতি মৌসুমে সিংড়া উপজেলায় বোরোধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৬ হাজার ৬০০ হেক্টর জমি।  চলনবিলের নীচু এলাকার কিছু মাঠে বর্ষার সময়ে ভেসে আসা কচুরী পানার স্তুপ জমেছে। আমরা কৃষকদের  কচুরী পানা ধবংসের জন্য ছত্রাকনাশক  স্পৈ করার পরামর্শ দিচ্ছি। এছাড়া কচুরীপানা আগুনে না পুড়িয়ে জমিতেই স্তুপ করে জৈব সার তৈরী করার   পরামর্শ দিচ্ছি।  কৃষি বিভাগ সবসময়ই কৃষকদের পাশে থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করে যাচ্ছে।

Facebook Comments Box
এই ক্যাটাগরির আরও খবর