মোঃ আশরাফ ইকবাল পিকলু
কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি ।
১৯৬৪ সালে “বডি বিল্ডিং” প্রতিযোগিতায় “মিস্টার ইস্ট পাকিস্তান” খেতাব পাওয়া এই মানুষটিকে কাছের মানুষেরা শুধু মেজবাহ বলেই ডাকতেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের পর তিনি সহকারী পরিচালক হিসেবে চলচ্চিত্রে সংশ্লিষ্ট হন। এস এম শফির “ছন্দ হারিয়ে গেলো” ছবির সহকারী হিসেবে কাজ করার সময় তিনি ওই ছবির ছোট্ট একটি দৃশ্যে অভিনয় করেন। পরিচালক মহসিন তাঁকে “রাতের পর দিন” ছবির মুখ্য চরিত্রে (নায়ক) অভিনয়ের সূযোগ করে দেন। ১৯৭৩ সালে ছবিটি মুক্তি পায়। এ ছবির সাফল্য চলচ্চিত্র ব্যাবসার একটা ইতিহাস। রাতারাতি তারকা খ্যাতি পেয়ে যান ওয়াসিম। এরপর ১৯৭৪ সালে ডাকু মনসুর, কে আসল কে নকল, জিঘাংসা ছবি গুলো ব্যাবসা সফল হবার পর ওয়াসিম হয়ে ওঠেন প্রযোজক ও পরিচালকদের কাংখিত তারকা। বলা হয়ে থাকে এই নায়কের প্রথম ছবি থেকে একের পর এক প্রায় ৫০ টি ছবি ধারাবাহিক ভাবে ব্যাবসা সফল।
১৯৭৬ সালে ওয়াসিম অভিনীত, এস এম শফির “দি রেইন” ছবিটি বাংলা ভাষার পাশাপাশি আরও একটি ভাষায় “ডাব” এবং দুটো ভাষায় “সাব টাইটেল” করা হয়। ছবিটি বিশ্বের ৪৬ টি দেশে মুক্তি পাওয়ায় ওয়াসিম পান আন্তর্জাতিক পরিচিতি। ব্যাপক ব্যাবসায়ীক সাফল্যের পাশাপাশি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে দুটি শাখায় পুরস্কৃত হয় ছবিটি। ব্যক্তিগত ভাবে সজ্জন, অমায়িক, মৃদুভাষী এই নায়ককে সে সময়ের একটি পত্রিকা “মিঃ ক্লিন” উপাধি দিয়েছিলো।
প্রায় দেড়শত ছবির নায়ক ওয়াসিম ১৯৪৭ সালের ২৩ মার্চ, চাঁদপুরের মতলব থানায় জন্মগ্রহণ করেন। গভীর শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা এই প্রিয় মানুষটির প্রতি। মহান আল্লাহ যেন তাঁকে বেহেশত নসীব করেন।
ছবিঃ (ডানে উপরে) একফ্রেমে আড্ডারত পাঁচ তারকা ওয়াসিম, জাভেদ, আলমগীর, মাসুদ পারভেজ (সোহেল রানা) ও ফারুক।