1. admin@dakbela.com : admin :
একই কায়দায় যুবলীগ-ছাত্রলীগ নেতা হত্যাকান্ড, কবে বিচার পাবে পরিবার? - ডাক বেলা
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:১৭ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
পবিত্র কাবাঘরে ‌জয় বাংলা স্লোগান দেওয়া যুবক পদুয়ার হারুন কসবায় চিলড্রেন ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের মেধাবৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত নবীনগরে মোবাইল চুরির অপবাদ সহ্য করতে না পেরে যুবকের আত্মহত্যা শ্রীপুরে বোতাম তৈরি  কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড! আগুন নিয়ন্ত্রণে ৭টি ইউনিট  রাজশাহীতে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল স্বামী-স্ত্রী ও শ্যালিকার আরএমপি’র রাজপাড়া থানার নতুন ভবনের উদ্বোধন মিঠাপুকুরে ওয়াল্ডভিষণ CVA কর্ম-পরিকল্পনা সভা অনুষ্ঠিত। কালিয়াকৈর মডেল প্রেস ক্লাবের বাৎসরিক শিক্ষা সফর কক্সবাজার গোপালপুর দ্বী-মূখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ কসবায় বৃহত্তর কুমিল্লা জেলা কিন্ডারগাটের্ন এসোঃ বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

একই কায়দায় যুবলীগ-ছাত্রলীগ নেতা হত্যাকান্ড, কবে বিচার পাবে পরিবার?

ডাক বেলা ডেস্ক :
  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ৮ জুন, ২০২৪
  • ৪৩ বার পঠিত

সরকার মাজহারুল ইসলাম ,(গাজীপুর জেলা) প্রতিনিধি
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে প্রকাশ্যে ছাত্রলীগ নেতা আল আমিনের নৃশংস হত্যাকান্ডের একদিন শুক্রবার পর্যন্ত পেরিয়ে গেলেও কোনো আসামীকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। ৯ বছর আগে একই স্থানে একই কায়দায় প্রকাশ্যে নৃশংসভাবে যুবলীগ নেতা রফিকুলকে হত্যা করা হয়। সে বিচার শেষ না হতেই আবার ছাত্রলীগ নেতা হত্যা। কবে বিচার পাবে তাদের পরিবার? এমন প্রশ্ন ছুরছেন নানা মহলের মানুষ।
এলাকাবাসী, নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বাবা মোতালেব হোসেন একজন সিএনজি চালক আর মা আছিয়া বেগম গৃহিনী। তাদের এক ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে আল আমিন সবার বড়। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক ডিঙ্গিয়ে সবে মাত্র জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সরকারী কলেজে ডিগ্রিতে পা রেখেছে তাদের ছেলে। সে লেখাপড়া করে একটা ভাল চাকরি করবে ও তাদের দেখাশুনা করবে। কিন্তু বাবা-মায়ের সেসব স্বপ্ন যেন নিমিশেই শেষ হয়ে গেল। লেখাপড়ার পাশাপাশি আল আমিন ওই কলেজের দ্বাদশ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করতো। সেই ছাত্রলীগের রাজনীতিই কাল হলো আল আমিনের। গত বুধবার ওই কলেজের এইচএসসি পরিক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠানে তাদের সঙ্গে অপর ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের কথা কাটাকাটি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর জেরে গত বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাকে প্রকাশ্যে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারি কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী। এসময় কামরুল হাসান নামে অপর ছাত্রলীগ সদস্যকে কুপিয়ে আহত করা হয়। পরে হত্যাকারীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা মোতালেব হোসেন বাদী হয়ে রাতে কালিয়াকৈর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় কালিয়াকৈর পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি ও ওই কলেজের ডিগ্রি তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ইমন খান ও ওই কলেজ শাখার ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হাসানসহ ১৮জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো অনেককে আসামী করা হয়। কিন্তু হত্যাকান্ডের একদিন পেরিয়ে গেলেও হত্যাকারী কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এদিকে শুক্রবার ময়নাতদন্তের পর জানাযা নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার মৃতদেহ দাফন সম্পূর্ণ করা হয়। এর আগে গত ২০১৫ সালের ২১ আগস্ট একই স্থানে উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলামকে একই কায়দায় প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছিল। লাশ নিয়ে কালিয়াকৈর উপজেলার সাহেব বাজার এলাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল ও কালিয়াকৈর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনে প্রতিবাদ সভা করে। ঘটনার পরের দিন নিহতের বড় ভাই আব্দুল মোতালেব মিয়া বাদী হয়ে কালিয়াকৈর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। কিন্তু রাজনৈতিক রেষারেষি ও তদন্তের হেরফেরে ওই মামলাটি তিনবার নারাজি দেওয়া হয়েছিল। এর ফাঁক-ফুকুর দিয়ে আড়ালে চলে যায় অনেক রাঘব-বোয়াল নেতা। সর্বশেষ দীর্ঘদিন পর ওই মামলার চার্জসিট হলেও ৯ বছর ধরে ন্যায় বিচারের অপেক্ষায় তার পরিবার। ওই হত্যাকান্ডের বিচার শেষ হতে না হতেই একই কায়দায় আবার ছাত্রলীগ নেতা আল আমিনকে হত্যা। কবে বিচার পাবে তাদের পরিবার? এমন প্রশ্ন ছুড়ছেন নানা মহলের মানুষ। শুধু যুবলীগ নেতা রফিকুল ও ছাত্রলীগ নেতা আল আমিনই নয়, নাম জানা ও অজানা হত্যাকান্ডগুলো দীর্ঘদিন বিচারের জন্য ঝুলে থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। তারা জানিয়েছেন, কখনো লাশ নিয়ে সড়ক-মহাসড়কে বিক্ষোভ, অর্ধদিবস হরতাল কর্মসূচী, প্রতিবাদ সভা করলেও বছরের পর বছর ধরে চলে বিচার কার্য। ফলে হতাশায় ভুগছেন পরিবারের সদস্যরা।
নিহত ছাত্রলীগ নেতার মামা হারুন মিয়া জানান, ময়নাতদন্ত পর বিকেলে জানাযার নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার মৃতদেহের দাফন সম্পূর্ণ করা হবে। তবে এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
অপর নিহত যুবলীগের নেতা রফিকুলের বড় ভাই আব্দুল মোতালেব মিয়া বলেন, আমার ভাইকে প্রকাশ্যে যেভাবে হত্যা করেছে, ঠিক একই কায়দায় ওই ছাত্রলীগ নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু অর্থের বিনিময়ে ভাই হত্যার মামলা থেকে অনেককে বাদ দেওয়া হয়েছে। তবে আমার ভাই হত্যার বিচার আল্লাহর উপর ছেড়ে দিয়েছি।
কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম নাসিম জানান, আল আমিন হত্যাকান্ডের ঘটনায় তার বাবা বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলার আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এছাড়া ওই স্থানে যুবলীগ নেতা রফিকুল হত্যাকান্ডের বিষয়টি আমার জানা নেই। তারিখ- ০৭.০৬.২০২৪ইং

Facebook Comments Box
এই ক্যাটাগরির আরও খবর