মোঃ আশরাফ ইকবাল পিকলু
কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধ ।
এই ছেলে চুল দাড়ি কাটেন না কেন ?
-প্রয়োজন বোধ করি না তাই।
-সিগারেট খান?
– হুম অনেক
– প্রেম করেন?
– আগে করতাম এখন করি না।
– তো কেনো প্রেম ছেড়েছেন?
– আমি ছাড়িনি তো। তার আমার কাছে থাকার প্রয়োজন শেষ হয়েছে তাই সে ছেড়ে গেছে।
– হুম বুঝলাম। তো এই ছেড়া শার্ট টা পড়ে প্রতদিন ক্যাম্পাসে আসেন কেনো?
– ভাল শার্ট পরার প্রয়োজন হয় না।
– আপনাকে যে অনেকে পাগল বলে সেটা জানেন?
-অন্যেরা কি বলল সেটা কখনও ভাবি না। আমি কেমন এটাই আমার কাছে সবকিছু।
-এরকম শুকিয়ে গেছেন কেনো? খাওয়া দাওয়া করেন তো ঠিক মতো?
-রান্না পারি না। যতটুকু হোটেলে সম্ভব ততটুকুই খাওয়া হয়।
-কেনো বাবা -মা কোথায় থাকেন?
-আল্লাহের কাছে।
-ওহ সরি। যাবেন আমার সাথে?
-কোথায়?
– যেখানে আপনাকে মানুষে পরিণত করা যাবে।
-কেনো আমি কি মানুষ না?
– না। আপনি একটা ছাগল।
– তো ছাগল কে আপনি মানুষ করবেন কেনো?
– সারাজীবন সেই মানুষটার কোলে মাথা রাখার জন্য।
– যদি বলি যাবো না আপনার সাথে।
– মেরে ঠ্যাং ভেঙে দিব।
– তখন তো সেই খোড়া ছেলেকে আর চাইবেন না।
– আরে বুদ্ধু ঠ্যাং ভাংব এজন্য যাতে কখনও আপনি ছেড়ে যেতে চাইলে না পারেন।
– ভালবাসতে চান?
-সেটা বলিনি তো। আপনি তো ছাগল আর ছাগলের সাথে তো থাকা যায় না।
-তাহলে সারাজীবন থাকবেন বললেন যে?
-ছাগলটাকে আগে মানুষ করব তারপর ভালবেসে সারাজীবন কোলে মাথা রাখব।
– হুম বুঝলাম?
-কী বুঝলেন?
-কেউ একজন আমার জীবনটাকে হাতিয়ে নেবার প্লান করছে।
– সেটা বলতে পারেন। ছাগলকে মানুষ করতে গেলে তো তার জীবন ছিনিয়ে নিতে হবেই।
-হাতটা দিবেন?
-কেনো?
– একটু দেখব এই হাতটা কতদিন আমাকে ধরে রাখতে পারবে।
– কেনো নয়। তবে শুধু হাত ধরে থাকলে হবে না। অজানা কোনো পরে সারাদিন হাটতেও হবে।
-তাহলে শুরু করা যাক।
-হুম অবশ্যই♥️♥️
#অনুগল্প