সরকার মাজহারুল ইসলাম ,(গাজীপুর জেলা) প্রতিনিধি
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বোয়ালী ইউনিয়নের উজান বিলে প্রবাসী বাংলা মৎস্য খামার-২ সোমবার সকালে এক লক্ষ তেলাপিয়া মাছ ছেড়ে শুভ সূচনা করলেন ম্যানেজার আবু হানিফ মিয়া। তুরাগ নদীর উত্তরতীরে অতি মনোরম পরিবেশে উজান বিল মৎস্য খামার -১ এ দেশীয় কার্প ও দেশীয় বাংলা জাতীয় মাছ চাষ করে ব্যাপক সফলতা অর্জন করেন । তাদের মাছ চাষের সফলতার পিছনের প্রবাসী বাংলা গ্রুপের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার ইদ্রিস আলী সাহেবের একান্ত প্রচেষ্টা কে উল্লেখ করেন । তাদের প্রকল্পে মাছ চাষের ধারণা আসে থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম এমনকি মরুভ‚মির দেশ সূদুর সৌদি আরবে মাছ চাষের সফলতা কে পুজিকরে । এ ক্ষেত্রে প্রবাসী বাংলা মৎস্য খামার -২ প্রজেক্ট ম্যানেজার জানায় ভৌগোলিক অবস্থান গোলয়া, ডাকুরাই, পিঁপড়াসিট তিনটি মৌজায় মোহনায় তাদের দুইশত পঞ্চাশ বিঘা নিচু কৃষির অযোগ্য দুইশত পঞ্চাষ বিঘা নিজস্ব ও কিছু জমি লিজে নিয়ে মাছ চাষ হতে পারে এ রকম ধারনা প্রথম। প্রবাসী বাংলা এগ্রো ফিসারিজ কিভাবে উন্নত প্রদ্ধতীতে ,কৃষির অযোগ্য জমিতে মাছ চাষ করে সফলতা অর্জন করা যায় এবং স্থানীয় গ্রামের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের কর্মসংস্থান করা যায়। অত্র এলাকার মধ্যে সর্ব প্রথম প্রবাসী বাংলাই ২০০৯ সনে মৎস্য খামার করে থাকে। প্রবাসী বাংলা মৎস্য প্রকল্পে সদস্য সংখ্যা ৪২ জন তারা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কর্মরত এবং তাদের কষ্টার্জিত অর্থ বিনিয়োগ করেই আজকের প্রবাসী বাংলা ফিসারিজ। তিনি আরো জানায় এ প্রকল্পের এমডি ইঞ্জিনিয়ার হয়েও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কর্মরত থেকে দেশের জন্য কিছু করার নেপথে, কিছু করার মানুষিকতা থেকেই আজকের এই প্রকল্প স্থানীয় ২৫/৩০ জনের কর্মসংস্থান হয়েছে। তিনি জানায় প্রকল্প ১ এ জমির পরিমান ষাট বিঘা এবং প্রকল্প ২ সম্পত্তির পরিমান দুইশত বিঘা । মৎস্য চাষের ক্ষেত্রে ভূ‚মির ব্যবহার কমানোর জন্য মাছের উৎপাদনের হার বাড়াতে হবে। আধুনিক বিজ্ঞানভিত্তিক প্রযুক্তি প্রয়োগ ও উন্নত সলিড নিবিড় মিশ্র চাষের মাধ্যমে সহজেই এই উৎপাদনকে দ্বিগুণ করা সম্ভব। তারা খামারের চতুর পাশে সার্বক্ষনিক বিদ্যুৎ এর মাধ্যমে জেনারেটরের সাহায্যে কৃত্রিম উপায়ে আধুনিক পদ্ধতিতে মাছ চাষ করে আসছে এবং বছরে প্রায় দুই তিন কোটি টাকা লাভ করতে পারবেন বলে আশা করেন। সেই সাথে মৎস্য চাষের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট জনগোষ্ঠীর লাভ ক্ষতির বিষয়টি বিবেচনায় রেখে তাদের ভাগ্য উন্নয়নের কথা বলেন।