সরকার মাজহারুল ইসলাম গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি,
ঈদ পরবর্তী বিশেষ বিনোদনের অন্যতম হচ্ছে বাহারী নামের প্রীতি ফুটবল ম্যাচ। কাঁচা দাঁড়ি বনাম পাঁকা দাঁড়ি, ছেলের বাপ বনাম মেয়ের বাপ, বিবাহিত বনাম অবিবাহিত, সিনিয়র বনাম জুনিয়র, উত্তর বঙ্গ বনাম দক্ষিন বঙ্গসহ বিভিন্ন নামে বাহারী এই প্রীতি ফুটবল ম্যাচ যেন মনে করিয়ে দিচ্ছে গ্রামবাংলার সেই পুরোনো ঐতিহ্যের কথা। ঈদের আনন্দকে ভাগাভাগি, ঈদ উপলক্ষে ছুটির অবসরে মিলন মেলা, পারস্পারিক সম্পর্কের উন্নতি, মাদক প্রতিরোধসহ বিভিন্ন লক্ষ্যে এ খেলার আয়োজন। ঈদ পরবর্তীতে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বিভিন্ন এলাকায় টানা ২-৩ দিন ধরে বিশেষ বিনোদন হিসেবে চলছে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ।
সরেজমিনে ঘুরে এলাকাবাসী, আয়োজক ও ফুটবল প্রেমীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঈদ মানে হাসি-খুশি আনন্দ, ঈদ মানে বিনোদন, ঈদ মানে মিলন মেলা। আর এ জন্য ঈদের পর বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রে উপচে পড়ে মানুষের ভীড়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। এছাড়াও ঈদ পরবর্তী বিশেষ আয়োজনের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বাহারী নামের প্রীতি ফুটবল ম্যাচ। এটা গ্রামবাংলার একটা ঐতিহ্য। ঈদ পরবর্তী আনন্দ ও মিলন মেলার নামে বিশেষ এ অয়োজন চলে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। ঈদের পরের দিন থেকে শুরু হয়ে ২-৩ দিন চলে এ খেলা। কাঁচা দাঁড়ি বনাম পাঁকা দাঁড়ি, ছেলের বাপ বনাম মেয়ের বাপ, বিবাহিত বনাম অবিবাহিত, সিনিয়র বনাম জুনিয়র, আর্জেন্টিনা বনাম ব্রাজিল, টানপাড়া বনাম নামাপাড়া, এ গ্রাম বনাম ঐ গ্রাম, উত্তরবঙ্গ বনাম দক্ষিণবঙ্গ এমন বাহারী নামে এ খেলা চলে। গ্রামবাংলার সেই ঐতিহ্য ধারণ, ঈদ আনন্দ, ঈদ মিলন মেলা, পারস্পারিক সম্পর্কের উন্নতি, মাদক প্রতিরোধসহ বিভিন্ন লক্ষ্যে এসব বাহারী প্রীতি ফুটবল ম্যাচ খেলার আয়োজন করা হয়। এর ধারাবাহিকতায় ঈদের পরের দিন জালশুকা এলাকায় বাজার সমিতির উদ্যোগে উত্তরবঙ্গ বনাম দক্ষিণবঙ্গ, মুদিপাড়া এলাকায় বিবাহিত বনাম অবিবাহিত, সাংবাদিক সাগর আহম্মেদের নেতৃত্বে বড়ইবাড়ী এলাকায় টানপাড়া বনাম নামাপাড়া, সাতখুড়া এলাকায় বিবাহিত বনাম অবিবাহিতসহ বিভিন্ন এলাকায় এমন বাহারী নামে প্রীতি ফুটবল খেলার ম্যাচ চলছে। বাহারী নামে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ খেলার মাঠ অলংকিত করছেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন আমন্ত্রিত অতিথিরা। এছাড়াও শিশু, যুবক-যুবতী, বৃদ্ধ নারী-পুরুষ সকলেই এই প্রীতি ফুটবল খেলা উপভোগ করে আনন্দ পাচ্ছেন।
আয়োজকদের মধ্যে জালশুকা বনিক সমিতির সভাপতি আব্দুল মজিদ, সাংবাদিক শাহ আলম সিকদার, ইমরুল হোসেন, ফজলুল হক, সাইদুর খাঁন, আশিক সিকদার, কৌশিক আহম্মেদ, রানা সরকার, ইকরামুল খাঁন জানান, প্রায় প্রতি ঈদেই এমন বাহারী প্রীতি ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করে থাকি। আর এ খেলা আয়োজন করতে এলাকাবাসী সহযোগীসহ উৎসাহ জোগায়। তবে উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শরিফা আক্তার বলেন, আমার বাড়ির পাশে দুটি খেলার মাঠ আছে। প্রতি বছরই দেখি এখানে ঈদ পরবর্তী বিশেষ আয়োজন মানেই বিকেলে প্রীতি ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। আর এ খেলা দেখে আনন্দ উপভোগ করেন শিশু, যুবক-যুবতী, বৃদ্ধ নারী-পুরুষসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ।
এব্যাপারে উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান সেলিম আজাদ বলেন, সবাইকে আনন্দ দেওয়ার জন্য এ ধরণের বাহারি প্রীতি ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করা হয়। এটি গ্রামবাংলার একটা পুরোনো ঐতিহ্য। সেই ঐতিহ্য ধরে রাখতে ও সবাইকে বিনোদন দিতেই এর আয়োজন করেন এলাকাবাসী ও যুব সমাজের যুবকরা। তাদেরকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।
###20-06-2024