স্পেশাল ক্রাইম রিপোর্টার টিপু সুলতান
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে চোখ রেখে বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলতে নেমে ব্যাটিংটা খারাপ হয়নি বাংলাদেশের। ৩০৬ রানের বড় পুঁজি পেয়েছে সাকিববিহীন বাংলাদেশ। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আশা বাঁচিয়ে রাখতে হলে অন্তত ২২.৪ ওভার পর্যন্ত অজিদের আটকে রাখতে হবে।
বিশ্বকাপ থেকে আগেই বিদায় নিশ্চিত হওয়ায় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচটি হতে পারত কেবলই নিয়মরক্ষার। তবে টাইগারদের পুরো নজর এখন ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে। যার জন্য বিশ্বকাপের পয়েন্ট টেবিলে আটের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে। অন্য দলের ওপর নির্ভরতার চেয়ে টাইগারদেরকেই সারতেই হবে মূল কাজটা। পুনের মহারাষ্ট্র স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জয়ের লক্ষ্য নিয়ে চন্ডিকা হাথুরুসিংহের শিষ্যরা তো খেলছেনই, একইসঙ্গে ম্যাচের ফল বিপক্ষে গেলে ব্যবধানটাও রাখতে হতো নির্দিষ্ট অঙ্কের মধ্যে।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩০৬ রান তুলেছে বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৪ রান এসেছে তাওহীদ হৃদয়ের ব্যাট থেকে। তাছাড়া ৪৫ রান করেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। বাংলাদেশের এই রান ১৭.২ ওভারের মধ্যে টপকাতে পারলে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হটিয়ে পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে উঠে আসবে অস্ট্রেলিয়া। অবশ্য ইতোমধ্যে দুই দলই সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে। বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিতে তারা একে অপরের মুখোমুখি হবে কলকাতায়।
অস্ট্রেলিয়াকে বড় লক্ষ্য দিলো বাংলাদেশ
হারলেও যেভাবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলবে বাংলাদেশ
২০২৭ বিশ্বকাপেও সাকিব-মুশফিককে চান হাথুরুসিংহে
এদিকে, নিউজিল্যান্ড-শ্রীলঙ্কার সর্বশেষ ম্যাচটা পাকিস্তানের সেমিফাইনাল খেলার স্বপ্ন যেমন প্রায় ভেঙে দিয়েছে, বিপরীতে সহজ করে দিয়েছে বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সমীকরণ। বিশ্বকাপের টেবিলে থাকা প্রথম আটটি দল আইসিসির মর্যাদাপূর্ণ আসরটিতে খেলবে। যেখানে সমান জয় পেলেও, ইংল্যান্ডের রানরেট বাংলাদেশের চেয়ে বেশি। এছাড়া পাকিস্তানের বিপক্ষে আজ শেষ ম্যাচ খেলছে ইংল্যান্ড, সেখানে তারা জিততেও পারে! তাই তাদের সমীকরণের বাইরে রেখে সমীকরণ হিসাব করা যেতে পারে।
বাংলাদেশের চেয়ে রানরেটে পিছিয়ে থাকা দুই দল শ্রীলঙ্কা ও নেদারল্যান্ডসের কথা ভাবা যাক। ইতোমধ্যে বিশ্বকাপ যাত্রা শেষ করে দেশে ফিরে গেছে লঙ্কান ক্রিকেটাররা। ৯ ম্যাচ শেষে তাদের রানরেট -১.৪১৯। অন্যদিকে, ৮ ম্যাচ শেষে বাংলাদেশের রানরেট -১.১৪১। নেদারল্যান্ডসের যা -১.৬৩৫। অর্থাৎ নেদারল্যান্ডস যদি স্বাভাবিক কাজটা করে, অর্থাৎ ভারতের কাছে হেরে যায়, বাংলাদেশের অবস্থান বেশ সুবিধাজনক।
সমীকরণটা দেখে নেওয়া যাক— টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩০৬ রান করেছে বাংলাদেশ, সেক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়া ২২.৪ ওভারের মধ্যে ম্যাচ শেষ না করলেই বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কার ওপরে থাকবে। আর এর বিপরীতটা ঘটলে শ্রীলঙ্কার চেয়ে পিছিয়ে পড়বে সাকিব আল হাসানের দল।
বাংলাদেশের সঙ্গে দৌড়ে থাকা নেদারল্যান্ডস তাদের তুলনায় প্রায় ১৯৩ রানে পিছিয়ে। ওদিকে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে বাংলাদেশের বাস্তব-অবাস্তব সব সমীকরণই ১৭০ থেকে ১৭৭ রানের মধ্যে। ফলে বাংলাদেশ যদি রানরেটে শ্রীলঙ্কার চেয়ে এগিয়ে থাকে, তবে ভারতের বিপক্ষে ১ রানে হারলেও বা ম্যাচের শেষ বলে হারলেও বাংলাদেশকে তখন রানরেটে টপকাতে পারবে না নেদারল্যান্ডস।