আশিকুর রহমান, মিঠাপুকুর
নারী শিক্ষা ও নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়ার জন্ম ও মৃত্যুবাষির্কী
রংপুর জেলা প্রশাসক এর আয়োজনে আজ
সোমবার (৯ডিসেম্বর) মহীয়সী বেগম রোকেয়া দিবস উৎযাপন উপলক্ষে বিভিন্নরকম কর্মসুচী হাতে নিয়ে শুরু হয়েছে রোকেয়া দিবস,প্রতি বছরের ৯-১০-১১ ইং ডিসেম্বর পর্যন্ত বিভিন্নরকম কর্মসুচী অনুষ্ঠিত হয়,বিভিন্ন রকমের দোকান পাট বসে মেলায় দশনাথী দের উপচে পড়া ভিড়,যা রোকেয়া মেলা বলে পরিচিত।অনুষ্ঠানে আলোচনা সভা,সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অংশগ্রহণে মিঠাপুকুর শিশু একাডেমি সহ অনেক সাংস্কৃতিক সংগঠন অংশগ্রহণ করে, রোকেয়ার মৃত্যর ৯২ বছর পরেও ওই এলাকায় নারী শিক্ষা ও অধিকারের বিষয়টি থেকে গেছে উপেক্ষিত। বেগম রোকেয়ার স্মৃতিকে আগামী প্রজন্মের কাছে উপস্থাপন করতে রংপুরের পায়রাবন্দে যে স্মৃতি কোন্দ্রটি স্থাপন করা হয়েছে জনবল নিয়োগ জটিলতায় ৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ স্মৃতি কেন্দ্রটি। এর ফলে স্মৃতি কেন্দ্রটির মূল্যবান লাইব্রেরি, সুদৃশ্য সেমিনার ও অডিটোরিয়াম কক্ষ, সেলাই মেশিন, সংগ্রহশালা ও গবেষণাকক্ষের সামগ্রী রয়েছে।মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ড.মোঃ ইউনুছ রোকেয়া স্মৃতি ধরে রাখতে নিজ জন্মভূমিতে রোকেয়া স্মৃতি সরকারি কলেজ,রংপুর রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়,রোকেয়া স্মৃতি ১০শর্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল,রোকেয়া নাসিংকলেজ সহ রোকেয়া নামে বিভিন্ন স্কুল কলেজ মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেন।
বেগম রোকেয়া ১৮৮০ সালের ৯ ডিসেম্বর রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার ৩ নং পায়রাবন্দ ইউনিয়নের পায়রাবন্দ গ্রামে সাবের পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৩২ সালের ৯ ডিসেম্বর,তিনি ভারতের কলকাতায় মারা যান। সেখানেই তাকে দাফন করা হয়।দুঃখের বিষয় বেগম রোকেয়ার মৃত্যর ৯২ বছর পরও তার লেখনী ও আন্দোলনের ঢেউ লাগেনি তার নিজ জন্মভূমি এলাকায়। এখনো তার জন্মস্থানের আশপাশে বাল্যবিবাহ ও যৌতুক প্রথা চালু,মাদকদ্রব্য বেচা বিক্রি ও সেবন আসক্ত যুব সমাজ। এখন পর্যন্ত এই এলাকায় পড়ালেখায় নারীদের উল্লেখযোগ্য কোনো উন্নতি নেই। এমনকি তার জন্মস্থানটিও প্রভাবশালী মহলের লুলুপ দৃষ্টি থেকে রেহাই পায়নি। এমনিভাবে অবহেলা আর অযত্নে পড়ে থাকা বেগম রোকেয়ার স্মৃতিকে ধরে রাখতে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়।
রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার পায়রাবন্দে ৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ‘বেগম রোকেয়া স্মৃতি’ কেন্দ্রটি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ২০০১ সালের ১ জুলাই উদ্বোধন করেন। সংস্কৃতিক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলা একাডেমীর তত্ত্বাবধানের পরে এই স্মৃতি কেন্দ্রটি উন্মুক্ত করে দেয়া হলে এ অঞ্চলের মানুষের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়।
দুঃখের বিষয় জানা গেছে, স্মৃতি কেন্দ্রে নিযুক্ত কর্মকর্তারা দীর্ঘ দিন বেতন পাওয়ার পর ২০০৪ সালের জুন মাসে প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর জৌলুশ হারাতে থাকে স্মৃতি কেন্দ্রটি। বেতন বন্ধ হয়ে যাওয়ার একে একে সবাই চলে গেলেও এখানে থেকে যান গার্ড ও মালি তারা এখনো দায়িত্ব করছেন।
তারা কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, ৪ বছর ধরে বেতন ছাড়াই এখানে কোটি কোটি টাকার মূল্যবান জিনিস হেফাজত করছি। বেতন হবে এই আশায় এখনো স্মৃতি কেন্দ্রের দেয়াল আঁকড়ে আছেন তারা।পায়রাবন্দ এলাকাবাসীর আশা দাবি ঐতিহাসিক এ-ই পায়রাবন্দ রোকেয়া স্মৃতি কেন্দ্র নতুন আঙ্গিকে সাজাবেন মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ড.মোঃ ইউনুস।
আশিকুর রহমান মিঠাপুকুর উপজেলা প্রতিনিধি,
মোবাইল, ০১৭৩৫৯৭৯০৮৭
তাং-৮-১২-২০২৪ ইং