আখাউড়া স্থলবন্দরে লং মার্চ কর্মসূচীর সমাবেশে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আমরা আপোষহীন
ডাক বেলা ডেস্ক :
-
প্রকাশের সময় :
বুধবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৪
-
২৪
বার পঠিত
- মোঃ শরীফুল ইসলাম, জেলা প্রতিনিধি ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মোনায়েম মুন্না বলেছেন, বাংলাদেশ হাইকমিশনের নিরাপত্তা দেয়ার দায়িত্ব ভারতের। তারা সে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। আমি তীব্রভাবে তাদের অবহেলা এবং কর্মকান্ডের নিন্দা জানাচ্ছি। বাংলাদেশকে আপনারা প্রতিবেশি রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে হবে। আমরা সুস্পষ্টভাবে বলতে চাই বাংলাদেশের বহিরাগত কোনো প্রভু নেই। আমরা বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিবেশিকে চিন্তা করি।
তিনি গতকাল বুধবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরে লংমার্চ কর্মসূচি শেষে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
এ সময় মোনায়েম মুন্না আরো বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের জন্য দেশের জনগণ যে কোনো ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত আছে। স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আমরা আপোষহীন। আমাদের কাছে বাংলাদেশই প্রথম। বাংলাদেশ আমাদের প্রাণের স্পন্দন। স্বাধীনতা যুদ্ধ করে আমরা বাংলাদেশ পেয়েছি।
তিনি বলেন, আমরা অবিলম্বে শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে ফিরিয়ে এনে বিচারের আওতায় আনার জন্য অর্ন্তবর্তী সরকারের প্রতি আহবান জানাচ্ছি। আপনারা ভারত সরকারকে বলেন, শেখ হাসিনা এবং তার দোসরদেরকে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এস.এম জিলানীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন যুবদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির প্রমুখ।
বক্তব্য রাখেন, ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক শ্যামল মালুম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি ফখরুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, এদেশে আওয়ামী লীগের কোনো অস্তিত্ব নেই। এদেশের মানুষ ভারতের আগ্রাাসী মনোভাব মোকাবেলায় ঐক্যবদ্ধ। আবার যদি পতাকা অবমাননা হয়, তাহলে আমরা এর কঠোর জবাব দিবো।
যুবদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম নয়ন বলেন, ‘ভারতে বাংলাদেশের পতাকা পুড়ানোর সময় সেখানে পুলিশ ছিলো নীরব। এটি অবমাননা। তারা প্রতিবেশি দেশ। কিন্তু বন্ধু হতে পারেনি। তারা তিস্তার পানি না দিলেও ফেনী নদী থেকে নিয়ে গেছে। তারা পররাস্ট্র নীতি কি হবে শেখায়। আগে তাদের জাহাজ ভিড়তে দিতে হয়। স্বাধীনতার পর থেকে তারা শোষণ করছে। আমরা জামদানি পাঠাই, ইলিশ পাঠাই। তারা ফালানির লাশ দেয় আর ফেন্সিডিল দেয়।
এর আগে সকাল ৯টায় ঢাকার নয়াপল্টন থেকে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল ও ছাত্রদলের লংমার্চ শুরু হয়ে বিকেল ৪টা নাগাদ আখাউড়া স্থলবন্দরে এসে শেষ হয়।
ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলা, ভাংচুর ও জাতীয় পতাকা অবমাননা এবং ভারতীয় গণমাধ্যমে বাংলাদেশ নিয়ে অপপ্রচারের প্রতিবাদে এ লংমার্চ কর্মসূচির আয়োজন করে বিএনপির তিন সহযোগী সংগঠন।
মোঃ শরীফুল ইসলাম, জেলা- প্রতিনিধি ব্রাহ্মণবাড়িয়া। তারিখ- ১১/১২/২০২৪ইং
এই ক্যাটাগরির আরও খবর