স্পেশাল টাইম রিপোর্ট টিপু সুলতান।
টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার মোকনা ইউনিয়নের কেদারপুর ব্রীজ থেকে রাতের আঁধারে ধলেশ্বরী নদীতে অবৈধ বেকু দিয়ে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করার অভিযোগ অসাধু চার বালি খেকোর বিরুদ্ধে। ফসলি জমি ও ফসল নষ্ট করে ড্রাইভিশন বানিয়ে ছয় চাকার ড্রাম টাক দিয়ে নদী থেকে বালু বিক্রি করে চার অসাধু বালু খেকোরা,বালু উত্তোলনের কারনে কেদারপুর শেখ হাসিনা ব্রীজ ও ফসলের জমি ধ্বংসের মুখে সেইসাথে বসত বাড়ি সহ ধ্বংস করছেন বালু খেকোরা এমনটাই বলে থাকেন সাধারণ জনগণ।
নদীতে বেকু বসানোর মূল হোতা স্থানীয় চার বালু খেকোরা (১) মোহাম্মদ ফরিদ হোসেন (২) মোহাম্মদ আরিফ মিয়া (৩) মোঃ জহিরুল আহমেদ (৪) অজ্ঞাত রয়েছে আরও কয়েক জন।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় ধলেশ্বরী নদীর বেহাল অবস্থা,গ্রামবাসীরা বলেন বালু কাটা বন্ধ না করলে আমাদের প্রাণ শেখ হাসিনা কেদারপুর ব্রীজ ও আমরাদের ফসলের জমি নিয়ে বসত বাড়ি নিয়ে বিপাকে পড়ে যাব এমনটাই বলেন গ্রামবাসীরা।
মুঠোফোনে মোজনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বলেন, বালু খেকোদের বিরুদ্ধে নাগরপুর উপজেলায় বেশ কয়েক বার অভিযোগ করেছেন তারপরও থামছেন না বালু খেকোরা। গ্রামবাসীরা বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে ভড়া মৌসুমে নদী ভাঙ্গন রোধ করা সম্ভব হবে না।
সূত্রে জানা যায়, নাগরপুর উপজেলার কর্মকর্তা (ইউএনও) কয়েক দফা অভিযান পরিচালনা করে বেকু বন্ধে তার পরেও থামছে না অবৈধ বালু উত্তোলন ও বিক্রি।
ফরিদ মিয়াকে ফোনে জিজ্ঞাসা করলে ফরিদ মিয়া বলে, নিজের বাবার প্রত্যিক সম্পত্তি কাটার কোন অনুমতি লাগে না। (পুলিশ সুপার) ও (ইউএনও) ও জন প্রতিনিধি চেয়ারম্যানের কোন পারমিশন লাগে না বলে জানান ফরিদ মিয়া।
সাংবাদিক তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে ফোনে হুমকি দেন অসাধু বালু খেকো খোরশেদ আলম তাদের খুঁটির জোর কোথায় প্রশ্ন সাধারণ জনগণের। দলীয় প্রভাব বিস্তার করে এসব অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন রাতের আদারে ক্ষমতার বলে ভয়ে মুখ খুলতে পারছেন না অনেকেই।
খোরশেদের ভাই কাশেমের সাথে ফোন কথা বলে আরো কিছু চঞ্চল্যকর কথা উঠে আসে কাসেম মিয়ার বক্তব্যে।
কাসেম মিয়া নিজে শিকার উক্তি দেন সাংবাদিকের কাছে, আমারা পুরাটাই অবৈধ ব্যবসা করে থাকি আমরা তিন টা বালু গাট থেকে বালু উত্তোলন করি এমনটাই বলে থাকেন মোঃ কাশেম, এর মধ্যে উঠে আসে কাসেম মিয়ার ছোট ভাই খোরশেদ আলমের কথা। খোরশেদ আলমের অবৈধ বালুর ব্যবসা আছে বলে জানান।
এবিষয়ে টাঙ্গাইল জেলার পুলিশ সুপার বলেন, নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বলেন কেদারপুরের ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বলেন, যথাযথ সময়ের মধ্যে অভিযান পরিচালনা করে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এমনটাই আশা সাধারণ জনগণের।