বিশেষ প্রতিনিধি
রংপুরের মিঠাপুকুরে নাবালিকা গৃহকর্মীকে ধর্ষণের পর দুইমাসের অন্তঃসত্ত্বা করার অভিযোগ উঠেছে এক প্রতিবেশী গৃহকর্তার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ওই এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার পর ধর্ষণ এবং অন্তঃসত্ত্বার শিকার ওই তরুণী বাবা মায়ের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করে নিজেই মিঠাপুকুর থানায় ধর্ষকের শাস্তির দাবিতে পৌছান।
রবিবার (৯-জুন) মিঠাপুকুর উপজেলার ০২ নং রানীপুকুর ইউনিয়নের নুরপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।স্থানীয়দের অভিযোগ,হতদরিদ্র হওয়ায় দুইমাস থেকে ধর্ষক নাবালিকার বাবা মাকে প্রলোভণ দেখিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। অবশেষে নাবালিকা প্রতিবাদ করলে ধর্ষণের বিষয়টি সামনে চলে আসে।
ওই নাবালিকার অভিযোগ-সাংসারিক অস্বচ্ছলতা এবং তার বাবা শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় একই গ্রামের পাশ্ববর্তী সম্পর্কে জ্যাঠা শেরহিন্দীর (৬৫) বাড়িতে মাঝেমধ্যে গৃহকর্মীর কাজ করতেন ওই নাবালিকা। ঘটনার দিন অভিযুক্ত জ্যাঠা শেরহিন্দীর স্ত্রী বাড়িতে না থাকায় বাড়ির কাজ করতে ওই নাবালিকাকে ডাকেন। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে ওই কিশোরীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। পরে কিশোরীকে চল্লিশ টাকা হাতে ধরিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। নাবালিকা বিষয়টি তার বাবা মাকে জানালে নাবালিকার বাবা মা বিষয়টি গুরুত্ব দেয়নি।
এদিকে ঘটনার দুমাস পর ওই নাবালিকা তার শারীরিক পরিবর্তন দেখে সন্দেহ হলে প্রেগনেন্সি টেস্ট করে জানতে পারেন,সে দুইমাসের অন্তঃসত্ত্বা। পরে বিষয়টি স্থানীয়দের অবগত করা হলে স্থানীয়রা অভিযুক্তের বাড়িতে গেলে অভিযুক্ত শেরহিন্দী ঘটনাটি অস্বীকার করেন এবং উল্টো ভিকটিমের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ রটান। পরে বাধ্য হয়ে ওই কিশোরী থানায় হাজির হন।
এ বিষয়ে মিঠাপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ জানান,ভিকটিম পুলিশ সাপোর্ট সেন্টারে রয়েছে।এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। পলাতক থাকায় অভিযুক্ত শেরহিন্দীর কোনো বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।