সারোয়ার হোসাইন, নালিতাবাড়ী প্রতিনিধি।
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার সীমান্তবর্তী নাকুগাঁও গ্রামে বন্য হাতি হানা দিয়েছে। ফসল রক্ষার জন্য কৃষকেরা রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, বর্তমানে ৫০-৬০টি হাতি নাকুগাঁও ও ভারত সীমান্তের নাকুগাঁও স্থলবন্দরের পশ্চিম পাশে অবস্থান করছে।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সীমান্তবর্তী নাকুগাঁও গ্রামে পাহাড়ের ঢালে শতাধিক কৃষক ১৫০ একর জমিতে বোরো আবাদ করেছেন। বেশ কয়েক দিন ধরে বিকাল থেকে সন্ধ্যা নাগাদ ৫০-৬০ টি বন্য হাতির পাল নাকুগাঁও স্থলবন্দরের পশ্চিম চলে আসে। হাতি গুলো যে কোন সময় নাকুগাঁও গ্রামের ফসলি জমিতে নেমে পড়ে। কৃষকের স্বপ্ন জমিতে সোনালী ফসল বোরো ধানের চারা মাথা উঁকি দিয়ে বেরে উঠছে আর এ সময় জমিতে আক্রমন করছে বন্য হাতির একটি দল। স্বপ্নের ফসল বাচাতেই বন্য হাতির সাথে জীবন যুদ্বে জরাচ্ছে সাধারণ কৃষক।
কৃষক আবুল হোসেন বলেন আমার ৪০ শতক আবাদি জমির ফসল আবাদ করতে খরচ হয়েছে ৭০,০০০ টাকা । আর এই কষ্টের ফসল হাতি পা দিয়ে মাড়িয়ে নষ্ট করে ফেলে। ফসল নষ্ট করার পরে সরকারি ভাবে আমাদের তেমন কোন সহযোগীতা পাই না।
ময়মনসিংহ বন বিভাগের মধুটিলা ইকোপার্কের রেঞ্জার রফিকুল ইসলাম বলেন, ৫০-৬০ টি বন্য হাতি নাকুগাঁও স্থলবন্দরের পশ্চিম পাশে অবস্থান করছে। সন্ধ্যার পর হাতির দলটি কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে খেতে নেমে পড়ছে। ফসলি জমি পা দিয়ে নষ্ট করে ফেলে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের নিয়ম মেনে ক্ষতিপূরণের জন্য আবেদন করতে বলেছি।