1. admin@dakbela.com : admin :
কুষ্টিয়ায় ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে আট গুণ শিশু রোগী। - ডাক বেলা
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:১২ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
পবিত্র কাবাঘরে ‌জয় বাংলা স্লোগান দেওয়া যুবক পদুয়ার হারুন কসবায় চিলড্রেন ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের মেধাবৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত নবীনগরে মোবাইল চুরির অপবাদ সহ্য করতে না পেরে যুবকের আত্মহত্যা শ্রীপুরে বোতাম তৈরি  কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড! আগুন নিয়ন্ত্রণে ৭টি ইউনিট  রাজশাহীতে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল স্বামী-স্ত্রী ও শ্যালিকার আরএমপি’র রাজপাড়া থানার নতুন ভবনের উদ্বোধন মিঠাপুকুরে ওয়াল্ডভিষণ CVA কর্ম-পরিকল্পনা সভা অনুষ্ঠিত। কালিয়াকৈর মডেল প্রেস ক্লাবের বাৎসরিক শিক্ষা সফর কক্সবাজার গোপালপুর দ্বী-মূখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ কসবায় বৃহত্তর কুমিল্লা জেলা কিন্ডারগাটের্ন এসোঃ বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

কুষ্টিয়ায় ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে আট গুণ শিশু রোগী।

ডাক বেলা ডেস্ক :
  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ২১ বার পঠিত

 

মোঃ আশরাফ ইকবাল পিকলু মাজমাদার
কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি।

কুষ্টিয়ায় শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শিশুদের ঠান্ডাজনিত রোগ বাড়ছে।
সর্দি-কাশি, জ্বর, নিউমোনিয়া, টনসিলাইটিস, ব্রঙ্কিওলাইটিস, ব্রংকাইটিস, সাইনোসাইটিসসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা।
কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ২০ শয্যার বিপরীতে ভর্তি রয়েছে ১৬০ শিশু,শয্যা সংকটের কারণে অধিকাংশের ঠাঁই হয়েছে হাসপাতালের বারান্দা ও মেঝেতে। শীতের শুরুতেই হাসপাতালে শিশু রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে।
ধারণক্ষমতার আটগুণ বেশি রোগী থাকায় ভোগান্তিতে পড়ছেন রোগীর স্বজনরা। জনবল-সংকট ও অতিরিক্ত রোগীর চাপে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে কর্তৃপক্ষকে। প্রতিদিনই এ রোগে আক্রান্ত ৫০-৬০ শিশু হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে।
রবিবার (১ডিসেম্বর) দুপুর ১২ টার সময় সরেজমিনে গিয়ে হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে দেখা যায়, আক্রান্ত রোগীদের উপচে পড়া ভিড়। পা ফেলার জায়গা নেই। মেঝে-বারান্দায় চলছে চিকিৎসা।
অতিরিক্ত রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। ঠিকমতো চিকিৎসাসেবা পাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন স্বজনরা।
কুষ্টিয়া সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিন শিশু রোগী ভর্তি হচ্ছে। গত সপ্তাহ থেকে হঠাৎ করেই কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে শিশু রোগীর ভিড় বেড়ে গেছে।
আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে সর্দি-কাশি, জ্বর, নিউমোনিয়া, টনসিলাইটিস, ব্রঙ্কিওলাইটিস, ব্রংকাইটিস, সাইনোসাইটিসসহ নানা রোগে আক্রান্তদের সংখ্যা বেড়েছে। ধারণক্ষমতার আটগুণ বেশি রোগী থাকায় নার্সরাও চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন।
এদিকে হাসপাতালের বহির্বিভাগেও ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা বেড়েছে।
বহির্বিভাগে প্রতিদিন প্রায় ২৫০ থেকে ৩৫০ শিশু চিকিৎসা নিচ্ছে। বেশিরভাগ শিশুই ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত। হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে, শিশু ওয়ার্ডের প্রবেশ পথে অসংখ্য রোগীর অভিভাবক ও স্বজনরা গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে আছেন। ওয়ার্ডের ভেতরেও ভিড়। ভিড়ের মধ্যেই চিকিৎসক-নার্সরা সেবা দিচ্ছেন।
২০ শয্যার শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছে ১৬০ শিশু। রোগীর ভিড়ে হাসপাতালের কোথাও পা ফেলার জায়গা নাই। গাদাগাদি করে বারান্দা ও মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন রোগীরা। জনবল ও জায়গার অভাব দেখা দিয়েছে। রোগীর আত্মীয়-স্বজন অভিযোগ করে বলেন, সরকারি এই হাসপাতালে ওষুধ দেয় না। ঠিকমতো চিকিৎসক আসে না। নার্সদের আচরণও অসৌজন্যমূলক।
শয্যার চেয়ে বহুগুণ বেশি রোগী ভর্তি। রোগীর ভিড়ে হাসপাতালের কোথাও পা ফেলার জায়গা নাই। গাদাগাদি করে বারান্দা ও মেঝেতে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। নোংরা পরিবেশে আমরাও অসুস্থ হয়ে যাচ্ছি।
এখানকার খাবারের মান ভালো না। খাওয়া যায় না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন, গাদাগাদি করে বারান্দা ও মেঝেতে শুয়ে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। নার্সদের ডাকতে গেলে খারাপ ব্যবহার করে।
চিকিৎসকরা ঠিকমতো আসেন না। সরকারি ওষুধ দেওয়া হয় না। নোংরা পরিবেশে খুব কষ্ট হচ্ছে। চরম অব্যবস্থাপনা এখানে। এসব সমস্যা সমাধানের দাবি জানান তারা।
শিশু ওয়ার্ডের নার্সরা বলেন, হঠাৎ করে এক সপ্তাহ ধরে সর্দি-কাশি, জ্বর, নিউমোনিয়া, টনসিলাইটিস, ব্রঙ্কিওলাইটিস, ব্রংকাইটিস, সাইনোসাইটিসসহ নানা রোগে আক্রান্ত শিশু রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে।
এত রোগী সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে আমাদের। তবুও আমরা ভালোভাবে সেবা দেওয়ার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। তারা আরও বলেন, রোগীর তুলনায় চিকিৎসক ও নার্স সংকট রয়েছে।
এতে রোগীদের কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। তবে আমরা সাধ্যমতো চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছি। ২০ শয্যার শিশু ওয়ার্ডে ১৬০ রোগী ভর্তি আছে।
প্রতিদিনই প্রায় ৫০-৬০ শিশু ভর্তি হচ্ছে। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক রফিকুল ইসলাম বলেন, শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শিশুদের ঠান্ডাজনিত রোগ বেড়েছে। অতিরিক্ত রোগীর চাপে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তবে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ চালু হলে এ সমস্যার সমাধান হবে।
আমরা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে রোগীদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছি,শিশুদের প্রতি অভিভাবকদের সচেতন ও যত্নবান হতে হবে। খাবার ও পোশাকের দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
শিশুদের ঠান্ডাজনিত রোগ দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিৎ।
শিশুদের পিতা-মাতা ও আত্মীয়-স্বজন সচেতন হলে শিশু রোগের সংখ্যা কমে যাবে অনেকাংশে। একে অন্যের উপর দোষ না চাপিয়ে সম্মিলিতভাবে কাজ করলেই সকল সমস্যার সমাধান হবে বলে প্রত্যাশা করেন তিনি।

Facebook Comments Box
এই ক্যাটাগরির আরও খবর